*ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসআইনমেন্ট সমাধান|ssc assignment 2021 6th week geography answer
ক) বারিমন্ডল, মহাসাগর, সাগর ও উপসাগরের বর্রনা
খ) সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ চিহ্নিতকরণ ও এদের বর্ননা
গ) সামুদ্রিক সম্পদের বিবরণ সহ বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদ এর বর্ণনা
ক) বারিমণ্ডল, সাগর উপসাগর, মহাসাগরের বর্ণনা
বারিমণ্ডের ধারণা (Concept of Hydrosphere)
Hydrosphere -এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমণ্ডল। Hydro শব্দের জর্থ পানি এবং Sphere শব্দের অর্থ মণ্ডল। আমরা জানি পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে পানি। এ বিশাল জলরাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন তিন্ন অবস্থায় থাকে যেমনঃ কঠিন (বরফ), গ্যাসীয় (জলীয়বাম্প) এবং তরল। বায়ুমন্ডলে পানি রয়েছে জলীয়বাম্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে রয়েছে তরল ও কঠিন অবস্থায় এবং ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি। সুতরাং বারিমণ্ডল বলতে বোঝায় পৃথিবীর সকল জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ।
পৃথিবীর সকল জলরাশির শতকরা 97 ভাগ পানি রয়েছে সমুদ্রে (মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর)। মাত্র ৩ ভাগ পানি রয়েছে মদী, হিমবাহ, মৃত্তিকা, বাযুমন্ডল ও জীবমন্ডলে। পৃথিবীর সমস্ত পানিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন লবনাক্ত ও মিঠা পানি। পৃথিবীর সকল মহাসাগর, সাগর ও উপসাপরের জলরাশি লবনাক্ত এবং নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি মিঠা পানির উৎস।
বারিমন্ডলের উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ বিশাল লবনাক্ত জলরাশিকে মহাসাগর বলে। পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর দক্ষিণ মহাসাগর। এর মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর বৃহত্তম ও গভীরতম। আটলান্টিক মহাসাগর ভগ্ন উপকূলবিশিষ্ট এবং এটি অনেক আবদ্ধ সাগরের সৃষ্টি করেছে। ভারত মহাসাগর এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ দ্বারা পরিবেষিত। ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে এন্টার্কটিকার হিমভাগ পর্যন্ত দক্ষিণ মহাসাগরের অবস্থান। দক্ষিণ মহাসাগরের দক্ষিণে এন্টার্কটিকা মহাদেশ বছরের সকল সময় বরফে আচ্ছন্ন থাকে। উত্তর গোলার্ধের উত্তর প্রান্তে উত্তর মহাসাগর অবস্থিত এবং এর চারদিক স্থলবেষ্টিত।
মহাসাগর অপেক্ষা স্বল্প আয়তনবিশিষ্ট জলরাশিকে সাগর বলে। যথাভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর, ক্যরিবিয়ান সাগর, জাপান সাগর ইত্যাদি। তিনদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং একদিকে জল তাকে উপসাগর বলে। যথাঃবঙ্গোপসাগর, পারস্য উপসাগর ও মেক্সিকো উপসাগর ইত্যাদি। চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে হ্রদ বলে। যথা- রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ, আমেরিকা যুক্তরাজ্য ও কানাডার সীমান্তে অবস্থিত সুপিরিয়র হ্রদ ও আফ্রিকার ভিষ্টোরিয়া হ্রদ ইত্যাদি।
খ) সমুদ্রের তলদেশে ভূমিরূপ চিহ্নিতকরণ ও এর বর্ণনা
সমুদ্রের তলদেশে ভুমিরূপঃ
ভূপৃষ্ঠের উপরের ভূমিরূপ যেমন উচুনিচু তেমনি সমুদ্র তলদেশও অসমান। কারণ সমুদ্রতলে আগ্নেয়গিরি, শৈলশিরা, উচ্চভূমি ও গভীর খাত প্রভৃতি বিদ্যমান আছে। শব্দতরঙ্গের সাহায্যে সমুদ্বের গভীরতা মাপা হয়। এ শব্দতরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে পানির মধ্য দিয়ে প্রায় 1475 মিটার নিচে যায় এবং আবার ফিরে আসে। ফ্যাদোমিটার যন্ত্রটি দিয়ে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা-
১) মহীসোপান ২) মহীঢাল ৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি 8) নিমজ্জিত শৈলশিরা ৫) গভীর সমুদ্রখাত
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিরূপ
(১) মহীসোপান
পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরুপে সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা 150 মিটার। এটি ১° কোণে সমুদ্র তলদেশে নিমজ্জিত থাকে। মহীসোপানের গড় প্রশস্ততা 70 কিলোমিটার। মহীসোপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে উপকূলীয় ঢাল বলে। মহীসোপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয়।
উপকৃলভাগের বন্ধুরতার উপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে। উপকূল যদি বিস্তৃত সমভূমি হয়, তবে মহীসোপান অধিক প্রশস্ত হয়। মহাদেশের উপকূলে পর্বত বা মালভূমি থাকলে মহীসোপান সংকীর্ণ হয়। ইউরোপের উত্তরে বিস্তীর্ণ সমভূমি তবে ইউরোপের উত্তর পশ্চিমে পৃথিবীর বৃহত্তম মহীসোপান অবস্থিত।
মহীসোপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশ উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে দেখতে পাওয়া যায়। অথচ এর পশ্চিমে উপকূল বরাবর উত্তর দক্ষিণ ভঙ্গিল রকি পর্বত অবস্থান করায় সেখানে মহীসোপান খুবই সংকীর্ণ। আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ স্থান মালতুমি বলে এর পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মহীসোপান খুবই সরু। সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গ ও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে।
৬ষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল এসাইনমেন্ট সমাধান
২) মহীঢাল
মহীসোপানের শেষ সীমা থেকে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবেনেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশের সঙ্গে মিশে যায়। এ ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে। সমুদ্রে এর গভীরতা 200 থেকে 3000 মিটার। সমুদ্র তলদেশের এ অংশ অধিক খাড়া হওয়ার জন্য প্রশস্ত কম হয়।
এটি গড়ে প্রায় ১৬ থেকে ৩২ কিলোমিটার প্রশস্ত। মহীঢালের উপরিভাগ সমান নয়। অসংখ্য আস্তঃসাপরীয় গিরিখাত অবস্থান করায় তা খুবই বন্ধুর প্রকৃতির। এর ঢাল মৃদু হলে জীবজন্তুর দেহাবশেষ, পলি প্রভৃতির অবক্ষেপণ দেখা যায়।
(৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি
মহীঢাল শেষ হওয়ার পর থেকে সমুদ্র তলদেশে যে বিস্তৃত সমভূমি দেখা যায় তাকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে। এর গড় গভীরতা 5000 মিটার। এ অঞ্চলটি সমতুমি নামে খ্যাত হলেও প্রকৃতপক্ষে তা কম্ধুর। কারণ গভীর সমুদ্রের সমভূমির উপর জলমগ্ন বহু শৈলশিরা ও উচ্চভূমি অবস্থান করে।
আবার কোথাও রয়েছে নানা ধরনের আগ্নেয়গিরি। এ সমস্ত উচ্চভূমির কোনো কোনোটি আবার জলরাশির উপর অবস্থান করে। সমুদ্রের এ গভীর অংশে পলিমাটি, আগ্নেয়গিরি থেকে উঠা লাভা সঞ্চিত হয়। এ সকল সঞ্চিত পদার্থ স্তরে স্তরে জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে।
এসএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল এসাইনমেন্ট
(8) নিমজ্জিত শৈলশিরা
সমুদ্রের অভ্যন্তরে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। এসব আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে এসে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়ে শৈলশিরার ন্যায় ভুমিরুপ গঠন করেছে। এগুলোই নিমজ্জিত শৈলশিরা নামে পরিচিত। নিমজ্জিত শৈলশিরাগুলোর মধ্যে মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
(৫) গভীর সমুদ্রখাত
গভীর সমুদ্রের সমভুমি অঞ্চলের মাঝে মাঝে গভীর খাত দেখা যায়। এ সকল খাতকে গতীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্লেট সীমানায় অবস্থিত। এ প্লেট সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এ সকল খাত সৃষ্কি হয়েছে। এ খাতগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্$। এদের গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 5400 মিটারের অধিক।
প্রশান্ত মহাসাগরেই গতীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক। এর অধিকাংশই পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এ সকল গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে গুয়াম দ্বীপের 322 কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ম্যারিয়ানা খাত সর্বাপেক্ষা গভীর। এর গভীরতা প্রায় 10870 মিটার এবং এটাই পৃথিবীর গভীরতম খাত।
এছাড়া আটলান্টিক মহাসাগরের পোটোরিকো খাত (8538 মিটার), ভারত মহাসাগরের খাতকে গতীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুপ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্রেট সীমানায় অবস্থিত। এ প্লেট সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এ সকল খাত সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট। এদের গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 5,400 মিটারের অধিক।
গ) সামুদ্রিক সম্পদের বিবরণসহ বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদ
সমুদ্র বা বিশ্ব মহাসাগর হল লবণাক্ত জলের পরস্পর সংযুক্ত জলরাশি, যা পৃথিবীর উপরিতলের 70 শতাংশেরও বেশি অংশ আবৃত করে রেখেছে। সমুদ্র পৃথিবীর জলবায়ুকে সহনীয় করে রাখে এবং জলচক্র, কার্বন চক্র ও নাইট্রোজেন চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ সমুদ্র পরিভ্রমণ করছে ও সমুদ্রাভিযান চালিয়ে আসছে। তবে সমুদ্র-সংক্রান্ত বিজ্ঞানসম্মত চর্চা বা সমুদ্রবিজ্ঞানের সূচনা ঘটে মোটামুটিভাবে 1768 থেকে 1779 সালের মধ্যে ক্যাপ্টেন জেমস কুকের প্রশান্ত মহাসাগর অভিযানের সময়।
নদী, পুকুর ও জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের দরিদ্র মানুষদের বড় অংশ এখনো যথেষ্ট পরিমাণে মাছ পাচ্ছে না। সমুদ্রসীমা জয়ের মাধ্যমে আমরা যে পরিমাণে মাছ আহরণ করছি, তার চেয়ে দ্বিগুণ মাছ আহরণ করা সম্ভব। এ জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে রাখতে হবে। এতে বঙ্গোপসাগর হবে মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের খনি।
দেশে সামুদ্রিক মৎ গতকাল বৃহস্পতিবার ‘সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতি ও মৎস্যজীবীদের কল্যাণ’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রথম আলো ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ যৌথভাবে বৈঠকটির আয়োজন করে।
৬ষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল এসাইনমেন্ট সমাধান
মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর পেছনে ওয়ার্ল্ডফিশের বিজ্ঞাননির্ভর গবেষণা বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু চিংড়িতে এখনো আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। চিংড়ি চাষের ভাইরাস পরীক্ষার জন্য 500 টাকা খরচ করতে চান না রপ্তানিকারকেরা।
কিন্তু 50 হাজার টাকা জরিমানা গুনছেন। এসব কারণে চিংড়ি চাষে আমরা এগোতে পারছি না। আমাদের মৎস্যসম্পদের অন্যতম রক্ষাকবচ হচ্ছে সুন্দরবন। সেখানে বেশি মাছ ধরা হচ্ছে, অবৈধ জাল ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ, সেখানে মৎস্য অধিদপ্তরের কোনো কার্যক্রম নেই। বন বিভাগ এককভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করায় আমরা সেখানকার সম্পদ রক্ষায় সহায়তা দিতে পারছি না।
মৎস্য সম্পদ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে মৎস্য সম্পদের অবদান শতকরা প্রায় 5 ভাগ। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে 4.37%। এটির সাথে যুক্ত আরেকটি বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি বা Blue Economy অর্থনীতির এমন একটি বিষয় যেখানে একটি দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ কিংবা সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতি। অর্থাৎ, সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যে কোন সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়, তাই ব্লু -ইকোনমির বা সুনীল অর্থনীতির পর্যায়ে পড়বে।
৬ষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল এসাইনমেন্ট সমাধান
সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। সমুদ্র, মাছ এবং মত্স্য সম্পদের মাধ্যমে খাবার চাহিদা মেটায়, মানুষ এবং পন্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয়। এছাড়াও সমুদ্র নানা ধরনের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ যেমন বালি, লবণ, কবাল্ট, গ্রাভেল, এবং কপার ইত্যাদির আধার হিসেবে ব্যবহূত হয় এবং তেল ও গ্যাস আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে সমুদ্র প্রয়োজন হয়।
এসব উপাদান সমষ্টিকেই বলা হয় সুনীল অর্থনীতি (Blue Economy)। সুনীল অর্থনীতির এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করা, সামাজিক পুঁজির সৃষ্টি করা, আয় বাড়ানো এবং সর্বোপরি পরিবেশে সঞ্চয়-বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।
বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদঃ
বাংলাদেশের প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে অনেক সামুদ্রিক সম্পদ। এর সমুদ্র তলদেশে ৪৪২ প্রজাতির মৎস্য,বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, নানারকম কাকড়া, ম্যানগ্রোভ বনসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জলজ উদ্ভিদ।
কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় পারমাণবিক খনিজ জিরকন, মোনাজাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, রিওটাইল ও লিউকব্সেন পাওয়া গেছে। এছাড়া সমুদ্র তলদেশে রয়েছে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদ।
*পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
SSC 2021 6th Week Civics Assignment Question
ক) বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ
খ) বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসন বিশ্লেষণ
গ) জেলা প্রশাসনের কার্যাবলী
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো
রাষ্ট্রের শাসন কার্য পরিচালনার দায়িত্ব প্রশাসনের। রাষ্ট্রের ভিতরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সুস্থ প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। প্রশাসনকে তাই বলা হয় রাষ্ট্রের হৃদপিন্ড। প্রশাসন একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। নিচে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর ছকের সাহায্যে তুলে ধরা হলোঃ
উপরের ছকের লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর স্তর ভিত্তিক। এর দুটি প্রধান স্তর আছে। প্রথম স্তরটি হল কেন্দ্রীয় প্রশাসন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে দ্বিতীয় স্তরটি হল মাঠ প্রশাসন। মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো বিভাগীয় প্রশাসন।
পৌরনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার পর আছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশের সব ধরনের প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়। আর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে সারাদেশে বাস্তবায়িত হয়।
ঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়া প্রতি মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত আছে বিভিন্ন বিভাগ বা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের/ দপ্তরের প্রধান হলেন মহাপরিচালক /পরিচালক।
মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরো আছে বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বোর্ড ও কর্পোরেশন। এসব দপ্তর ও অফিসের কোনো কোনোটির কার্যকলাপ আবার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। দপ্তর/ অধিদপ্তর গুলো সচিবালয়ের লাইন সংস্থা হিসেবে বিভিন্ন সরকারি কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করেন।
[খ] বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসন বিশ্লেষণ
চিবালয় কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সকল প্রশাসনিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সচিবালয় কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়ে গঠিত। এক একটি মন্ত্রণালয় এক একজন মন্ত্রীর অধীনে ন্যস্ত। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের একজন সচিব আছেন। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান এবং মন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা। মন্ত্রণালয়ের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা সচিবের হাতে। মন্ত্রীর প্রধান কাজ প্রকল্প প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ। আর মন্ত্রীকে নীতি-নির্ধারণেও শাসনকার্য সহায়তা করা এবং এসব নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব সচিবের।
সচিবলায়ের প্রশাসনিক কাঠামো
অতিরিক্ত সচিব মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি সচিবকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সহায়তা করেন। কোনো মন্ত্রণালয়ের সচিব না থাকলে তিনি সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতিটির অণুবিভাগ জন্য একজন করে যুগ্মসচিব থাকেন। তিনি সচিবকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী এবং অফিস ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রণালয়ের এক বা একাধিক শাখার দায়িত্বে থাকেন একজন উপসচিব। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নীতিনির্ধারণে যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবকে পরামর্শ দেন ও সহযোগিতা করেন।
পৌরনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
প্রতি শাখায় একজন সিনিয়র সহকারী সচিব ও একজন সহকারী সচিব রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপসচিবের সাথে পরামর্শ করে তারা দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রণালয়ের আরও বিভিন্ন ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। তারাও মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে চালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
উল্লেখ্য, সরকারের কয়টি মন্ত্রণালয় থাকবে এবং একটি মন্ত্রণালয় কতজন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারি সচিব থাকবেন তার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই। সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি অনুযায়ী তাদের সংখ্যা নির্ধারিত হয়ে থাকে।
বিভাগীয় প্রশাসনের গঠন ও কার্যাবলী
বাংলাদেশ আটটা বিভাগ আছে। প্রতিটি বিভাগে প্রশাসনিক প্রধান হলেন একজন বিভাগীয় কমিশনার। কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বিভাগে প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাঁর কাজের জন্য দায়ী থাকেন।
বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসকদের কাজ তদারক করেন বিভাগের উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান করেন। ভূমি রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা হলেও খাসজমি তদারক করেন। তিনি জেলা প্রশাসকদের বদলি করতে পারেন। বিভাগের ক্রিয়া উন্নয়ন, শিল্পকলা, সাহিত্য, সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করেন। জনকল্যাণ মূলক কাজ পরিচালনা করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন করেন।
জেলা প্রশাসকদের কাজ তদারক, পর্যবেক্ষণ, ও নিয়ন্ত্রণ করা বিভাগীয় কমিশনারের প্রধান কর্তব্য। তিনি তাঁর অধিক্ষেত্রাধীন জেলাসমূহের কাজের সমন্বয় সাধন করেন । বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় প্রশাসনের মূল নিয়ন্ত্রক। কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কার্যাবলী বিভাগীয় পর্যায়ের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার তত্ত্বাবধান করেন।
পৌরনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
বদলি, পদায়ন সংক্রান্তঃ
বিভাগীয় কমিশনার তাঁর বিভাগাধীন সকল জেলা এবং উপজেলায় সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভুমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বদলি এবং পদায়ন করেন। তাছাড়া, ভূমি অফিসে কর্মরত ভূমি উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ারদের বিভাগাধীন আন্তঃজেলা বদলি করেন।
প্রশাসনিক কার্যক্রম তদারকিঃ
বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের কার্যাবলী সমন্বয় সাধন বিভাগীয় কমিশনারের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব । এ ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার বিভাগাধীন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কার্যক্রম তদারকি করেন, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতি, মূল্যায়ন সময়ে সময়ে সরকারকে অবহিত করেন।
রাজস্ব সংক্রান্তঃ
বিভাগের ভূমি রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত কার্যাবলী পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করেন । তিনি বিভাগের প্রধান রাজস্ব অফিসার হিসেবে রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করন । রাজস্ব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের আদেশের বিরুদ্ধে তিনি আপিল শুনানী গ্রহন করে থাকেন ।
নির্বাচনী বোর্ড সংক্রান্তঃ
বিভাগীয় কমিশনার পদাধিকার বলে বিভাগীয় নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতি। এ বোর্ড তাঁর কার্যালয়, ডিআইজির কার্যালয়, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, বিভাগাধীন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তৃতীয় এবং ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন।
মাসিক সভা সংক্রান্তঃ
বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতি মাসে টাস্ক ফোর্স সভা, বিভাগীয় আইন শৃঙ্খলা সভা, বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলন, বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভা এবং ত্রৈমাসিকভাবে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৌরনীতি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্তঃ
পুলিশ রেগুলেশনস অফ বেঙ্গল (পিআরবি) ১৮৬১ অনুযায়ী পুলিশের উপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ব পালন।
প্রটোকল সংক্রান্তঃ
বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় পর্যায়ের প্রোটকল প্রধান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে তিনি প্রধান প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
পরিদর্শন সংক্রান্তঃ
তিনি নিয়মিতভাবে বিভাগাধীন সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারী কার্যালয়, প্রতিষ্ঠান. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দর্শন ও পরিদর্শন করেন।
আপিল আদালত পরিচালনা সংক্রান্তঃ
বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব মামলা, নামজারি মামলার আপিলেট কর্তৃপক্ষ। এ সংক্রান্ত আপিল তিনি নিষ্পত্তি করেন।
অভিযোগ তদন্ত বিষয়কঃ
বিভাগীয় কমিশনার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ছাড়াও যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকার্য পরিচালনা করে থাকেন।
পৌরনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
রাষ্ট্রীয় গোপনীয় বিষয়াদিঃ
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যাদি। সাইফার ও ডি-সাইফার সম্পর্কিত পুস্তকাদির সংরক্ষণ এবং প্রাপ্ত সাইফার বার্তা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ। গোপনীয় পুস্তকাদির নিরাপদ হেফাজত সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রেরণ। KPI এর নিরাপত্তা এর তদারকি। বিভাগীয় সার্বিক অবস্থার পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন সরকারের কাছে প্রেরণ।
ত্রাণ ও দুর্যোগ সংক্রান্তঃ
বিভাগাধীন জেলা এবং উপজেলায় ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের বিষয় তদারকি করেন। তাছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ে তিনি উদ্ধার কার্য মনিটরিং করেন।
(গ)জেলা প্রশাসনের কার্যাবলী বিশ্লেষণ
জেলা প্রশাসনের কার্যাবলী
জেলাপ্রশাসন মাঠ বা স্থানীয় প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন জেলা প্রশাসক। দেশের সব জেলায় একজন করে জেলা প্রশাসক আছেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে একজন অভিজ্ঞ সদস্য। তাকে কেন্দ্র করে জেলার সকল সরকারি কাজ পরিচালিত হয়। নিচের কাজগুলো সম্পর্কে জানবো।
ক। প্রশাসনিক কাজঃ জেলা প্রশাসক কেন্দ্র থেকে আসা সকল আদেশ-নির্দেশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন। জেলার বিভিন্ন অফিসের কাজ তদারক ও সমন্বয় করেন। জেলার বিভিন্ন শূন্য পদে লোক নিয়োগ করেন।
খ। রাজস্ব সংক্রান্ত ও আর্থিক কাজঃ জেলা প্রশাসক জেলা কোষাগারের রক্ষক ও পরিচালক। জেলার সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব তার সে কারণে তিনি কালেক্টর নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি ভূমি উন্নয়ন,রেজিস্ট্রেশন ও রাজস্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন মীমাংসা করে থাকেন।
পৌরনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
গ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কাজঃ জেলার মধ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত। তিনি পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
ঘ। উন্নয়নমূলক কাজঃ জেলা প্রশাসক জেলার সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি বাস্তবায়নের দায়িত্ব তার। তিনি জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন।
ঙ। স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত কাজঃ জেলা প্রশাসক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোর (উপজেলা পরিষদ পৌরসভা, ইউনিয়ন) কাজ তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জেলার অধীনস্থ সকল বিভাগ ও সংস্থার কাজের সমন্বয় করেন।
জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে তিনি আরো অনেক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলার সংবাদপত্র ও প্রকাশনা বিভাগ কে নিয়ন্ত্রণ করেন। বিভিন্ন জিনিসের লাইসেন্স দেওয়ার বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সে সম্পর্কে সরকারের অবহতি করে। জেলা প্রশাসকের ব্যাপক কাজের জন্য তাকে জেলার ‘মূল স্তম্ভ’ বলা হয়। তিনি শুধু জেলা প্রশাসক নন। জেলার সেবক, পরিচালক এবং বন্ধুও বটে।
তি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
উপ-জেলা প্রশাসনের কার্যাবলী
বাংলাদেশে মোট ৪৯০ টি প্রশাসনিক উপজেলা আছে। উপজেলা প্রধান প্রশাসক হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা প্রশাসনিক কাজ তদারক করা তার অন্যতম দায়িত্ব। এছাড়া তিনি উপজেলার সকল উন্নয়ন কাজ তদারক করেন ও সরকারি অর্থের তত্ত্বাবধান করেন। তিনি উপজেলা উন্নয়ন কমিটির প্রধান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের উল্লেখযোগ্য কাজ হলো কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় সাধন করা। এছাড়া তিনি সাধারণ প্রশাসন, রাজস্ব প্রশাসন, ফৌজদারি প্রশাসন ও উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্য দায়িত্ব হলোঃ
০১। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তদারকি করণ।
০২। সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
০৩। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ তদারকি ও বাস্তবায়ন।
০৪। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন।
০৫। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন।
০৬। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
০৭। আশ্রয়ণ প্রকল্ল, আদর্শ গ্রাম, আবাসন প্রকল্প গ্রহণ ও তাদের বাস্তবায়ন।
এসএসসি ২০২১ সালের পৌরনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
০৮। উপজাতিয়দের ঋণ প্রদান তাদেরকে স্বাবলম্বী করণ।
০৯। আবাসন বাসীদের ঋণপ্রদান ও তাদেরকে স্বাবলম্বী করণ।
১০। অসহায় মানুষদের বিভিন্ন আশ্রয়নে সংস্থানকরণ।
১১। মাধ্যমিক বিদ্যালয়/ প্রাথমিক বিদ্যালয়/ মাদ্রাসা পরিদর্শণ ও তাদের শিক্ষার মান উন্নয়ন করণ।
১২। স্থানীয় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করণ।
১৩। প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামত/সংস্কার ও আসবাবপত্র প্রদান।
১৪। ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক্স আদায়ের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা।
১৫। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়।
১৬। ঝাটকা ধরা বন্ধ করার লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা।
১৭। কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচী।
১৮। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান।
১৯। সাধারণ অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তি।
২০। দূর্যোগকালীন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও ভিজিডি, ভিজিএফ, অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচী বাস্তবায়ন।
*অর্থনীতি এসাইনমেন্ট সমাধান
এসএসসি অর্থনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
ক) চাহিদা রেখা অংকন ও ব্যাখ্যা
খ) যোগান রেখা অংকন ও ব্যাখ্যা
গ) ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ
ঘ) পছন্দমত দ্রব্যের চাহিদা সূচি ও রেখা অঙ্কন
এসাইনমেন্টে ভাল নম্বর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের উত্তর ভালভাবে পড়ে ধারনা নিয়ে তারপর নিজে নিজে লিখো। এতেকরে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ার নিশ্চয়তা বাড়বে।
ক) চাহিদা রেখা অংকন ও ব্যাখ্যা
চাহিদা: সাধারণত চাহিদা শব্দের অর্থ হচ্ছে কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বা ভোগ করার ইচ্ছা। তবে অর্থনীতিতে চাহিদা শব্দটি বিশেষ অর্থ বহন করে। এখানে আকাঙ্ক্ষার সাথে সামর্থ্য বিশেষভাবে জড়িত। চাহিদা হচ্ছে কোনো দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা যা নির্ভর করে ক্রয়ক্ষমতা এবং অর্থ খরচ করে ঐ দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছার উপর। শুধুমাত্র কোনো দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তা চাহিদা হবে না।
একজন দিনমজুর কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে গিয়ে পাশে রাখা দামি গাড়িটি পাওয়ার ইচ্ছা হলো। কিন্তু গাড়িটি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তার কাছে নেই। তাহলে ইহাকে চাহিদা বলা যাবে না। আবার, ধরুন আপনার আইসক্রীম খেতে ইচ্ছে করল এবং আইসক্রীম কেনার জন্য অর্থ আছে। কিন্তু অর্থ খরচ করে আইসক্রীম কেনার ইচ্ছা নেই। এটিকেও চাহিদা বলা যাবে না।
এসএসসি অর্থনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর
সুতরাং অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। যথা
(১) কোনো দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা
(২) দ্রব্যটি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ
(৩) অর্থ খরচ করে দ্রব্যটি কেনার ইচ্ছা।
চাহিদা সূচি: অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় কোন দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ককে যে সারণির মাধ্যমে দেখানো হয় তা হচ্ছে চাহিদা সূচি। সারণি-১ এ মাস্কের কাল্পনিক চাহিদা সূচি দেখানো হয়েছে। প্রতিটি দামে ভোক্তা যে পরিমাণ মাস্ক ক্রয় করে তা নির্ধারণ করতে পারি। সারণিতে, প্রতিটি ৩০০ টাকা দামে ভোক্তা ৬টি মাস্ক ক্রয় করে, ২০০ টাকা দামে ৮টি এবং ১০০ টাকা দামে ১০টি মাস্ক ক্রয় করে।
এভাবে সারণি থেকে দেখা যায়, প্রতিটি মাস্কের দাম যত কমছে মাস্কের চাহিদার পরিমাণ তত বাড়ছে।
চাহিদা রেখা: চাহিদা সূচি অনুযায়ী আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদার অন্যান্য নির্ধারণসমূহ স্থির থাকা অবস্থায় দ্রব্যের দামের উপর দ্রব্যটির প্রকৃত ক্রয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। রেখাচিত্রের মাধ্যমে চাহিদা সূচির প্রকাশই হচ্ছে চাহিদা রেখা। চিত্র ১ এ OY বা লম্ব অক্ষে মাস্কের দাম ও OX বা ভূমি অক্ষে মাস্কের চাহিদার পরিমাণ দেখানো হয়েছে। DD হচ্ছে ভোক্তার মাস্কের চাহিদা রেখা।
এই রেখার a, b, c বিন্দুগুলোতে বিভিন্ন দামে চাহিদার বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশ পায়। যেমন, b বিন্দু দ্বারা বোঝা যায়, ২০০ টাকা দামে ভোক্তার মাসে মাস্কের চাহিদার পরিমাণ ৮টি। আবার c বিন্দুতে ১০০ টাকা দামে মাস্কের চাহিদা পরিমাণ ১০টি। অর্থাৎ দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। দাম কমার সাথে সাথে চাহিদার পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং চাহিদা রেখাটি বাম থেকে ডান দিকে নিম্নগামী হয়ে থাকে।
খ) যোগান রেখা অংকন ও ব্যাখ্যা
যোগান: সাধারণ অর্থে যোগান হচ্ছে কোনো দ্রব্যের মজুদ পরিমাণ। কিন্তু অর্থনীতিতে যোগান বলতে বোঝায় বাজারে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট দামে কোনো দ্রব্যের যে পরিমাণ সরবরাহ থাকে। কোনো দ্রব্যের মজুদ বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও একটি নির্দিষ্ট দামে বাজারে ঐ দ্রব্যটির কি পরিমাণ সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু যোগান হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট দামে ও সময়ে বিক্রেতা কোনো দ্রব্যের কি পরিমাণ মজুদ বিক্রি করতে প্রস্তুত।
অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে বিক্রেতা বাজারে কোন দ্রব্য বা সেবার যে পরিমাণ বিক্রি করার সামর্থ্য রাখে তা হচ্ছে যোগানের পরিমাণ। অর্থনীতিতে যোগান শব্দটি দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ককে নির্দেশ করে। চাহিদার মত যোগানও স্থির সংখ্যা নয়। যোগান দেখায়, কিভাবে দামের সাথে সাথে যোগানের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রেতা বাজারে যে পরিমাণ যোগান দেয় তা নির্ভর করে দ্রব্যটির দামের উপর এবং যোগানের উপর প্রভাব বিস্তারকারী অন্যান্য উপকরণসমূহের উপর।
যোগান সূচি: চাহিদা সূচির মত যোগান সূচিকে একটি ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক দেখায়। সারনি-২ এ মাস্কের যোগান সূচি দেখানো হলো-
সারনি-২ এ দেখা যাচ্ছে যে, মাস্কের দাম বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে মাস্কের যোগানের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন অন্যান্য বিষয় (যা বিক্রেতার বিক্রির পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে) অপরিবর্তিত থাকে।
অর্থনীতি ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর
যোগান রেখা: সারনি-২ এর যোগানসূচিকে আমরা যোগান রেখার সাহায্যে উপস্থাপন করতে পারি। চিত্র -২ এ OX অক্ষে মাস্কের দাম ও OY অক্ষে মাস্কের যোগানের পরিমাণ দেখানো হয়েছে। মাস্কের দাম ও মাস্কের যোগানের পরিমাণ- এই দুইয়ের বিভিন্ন সংমিশ্রণ a, b, c এই বিন্দুগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়। a, b, c এই বিন্দুগুলো যোগ করে বাম থেকে ডানদিকে উর্ধ্বগামী যোগান রেখা পাই। সুতরাং যোগান রেখা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সমমুখী সম্পর্ককে প্রকাশ করে।
অর্থাৎ, দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে যোগান বৃদ্ধি পায় এবং দ্রব্যের দাম হ্রাস পেলে যোগান হ্রাস পায়।
গ) ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ
ভারসাম্য দাম: চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে দ্রব্যের দাম ও পরিমাণ নির্ধারিত হয়। বাজারে কিভাবে দাম নির্ধারিত হয় তা বিশ্লেষণের জন্য ভোক্তার চাহিদা ও বিক্রেতার যোগানের মধ্যে তুলনা করতে হবে এবং দেখতে হবে কোথায় চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান। সারণি-৩ ও চিত্র-৩ এ ব্যাপারে আমাদেরকে সাহায্য করবে।
ঘ) পছন্দমত দ্রব্যের চাহিদা সূচি ও রেখা অঙ্কন
চিত্রে বাজার চাহিদা রেখা (DD) ও বাজার যোগান রেখা (SS) পরস্পরকে e বিন্দুতে ছেদ করেছে। এই e বিন্দুতে বাজার ভারসাম্য বদ্যমান। ভারসাম্য হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি নির্দিষ্ট দামে চাহিদার পরিমাণ ও যোগানের পরিমাণ সমতায় পৌঁছে। চাহিদা ও যোগানের ছেদবিন্দুতে যে দাম বিদ্যমান তা হচ্ছে ভারসাম্য দাম এবং দ্রব্যের পরিমাণ হচ্ছে ভারসাম্য পরিমাণ। চিত্রে, ভারসাম্য দাম ২০০ টাকা এবং ভারসাম্য পরিমাণ ৮টি। ভারসাম্য দামে ভোক্তা বা ক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করতে ইচ্ছুক এবং বিক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য বিক্রি করতে রাজি থাকে এ দু’য়ের পরিমাণ সমান থাকে। এই ভারসাম্য দামকে মাঝে মাঝে market clearing price ও বলা হয়। কারণ- এ দামে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট থাকে।
রসায়ন এসাইনমেন্ট সমাধান
নির্দেশক প্রশ্নঃ
ক) পরমাণুর যোজনী
খ) পরিবর্তনশীল যোজনী ও সুপ্ত যোজনী
গ) তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার
ক) পরমাণুসমূহের যােজনী হিসাব
বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সমূহ একে অপরের সাথে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন বর্জন, গ্রহণ অথবা ভাগাভাগি মাধ্যমে অনু গঠন করে।অনু গঠনকালে কোন মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণু যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলে।
যৌগ গুলো H₂O, CO₂, CCl₄, PCl₅, PCl₃, PI₅, SO₂, SO₃
প্রশ্নে দেওয়া আছে হাইড্রোজেন পরমাণুর যোজনী 1। কোন মৌলের একটি পরমাণু যতগুলো হাইড্রোজেন পরমাণু বা একযোজী অন্য-পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে বা একটি পরমাণুর সাথে যতটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত হয়, তার সেই সংখ্যা দ্বিগুণ করলে ঐ পরমাণুর যোজনী পাওয়া যায়।
রসায়ন ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
H₂O, এখানে একটি O পরমাণু ও দুইটি H পরমাণু একসাথে যুক্ত রয়েছে। অতএব O এর যোজনী 2। (সংজ্ঞা মতে, উক্ত যৌগে একযোজী 2 টি হাইড্রোজেন পরমাণু রয়েছে)।
CO₂, এখানে একটি C পরমাণু ও ২টি O পরমাণু একসাথে যুক্ত রয়েছে। অতএব C এর যোজনী 4। (সংজ্ঞা মতে, উক্ত যৌগে দুইটি অক্সিজেন পরমাণু রয়েছে যার দ্বিগুণ কার্বনের যোজনী)।
CCl₄, এখানে একটি C পরমাণু ও চারটি Cl পরমাণু একসাথে যুক্ত রয়েছে । অতএব C এর যোজনী 4।(সংজ্ঞা মতে, উক্ত যৌগে চারটে একযোজী ক্লোরিন পরমাণু রয়েছে)।
PCl₅, এখানে একটি P পরমাণু ও পাঁচটি Cl পরমাণু একসাথে যুক্ত রয়েছে। অতএব P এর যোজনী 5। (সংজ্ঞা মতে, উক্ত যৌগে পাঁচটি একযোজী ক্লোরিন পরমাণুর রয়েছে)।
PCl₃, এখানে একটি P পরমাণু ও তিনটি Cl পরমাণু একসাথে যুক্ত রয়েছে । অতএব P এর যোজনী 3। (সংজ্ঞা মতে, উক্ত যৌগে তিনটি একযোজী ক্লোরিন পরমাণু রয়েছে)।
PI₅, এখানে একটি P পরমাণু ও পাঁচটি I পরমাণু একসাথে যুক্ত রয়েছে অতএব P এর যোজনী 5। (সংজ্ঞা মতে, উক্ত যৌগে পাঁচটি একযোজী আয়োডিন পরমাণু রয়েছে)।
SO₂, এখানে একটি S পরমাণু দুইটি O পরমাণুর সাথে একসাথে যুক্ত আছে অতএব S এর যোজনী 4। (সংজ্ঞা মতে, উক্ত যোগে দুইটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত রয়েছে ,তাই যোজনী অক্সিজেন এর দ্বিগুণ)।
SO₃, এখানে একটি পরমাণু ও তিনটি পরমাণু একসাথে যুক্ত আছে অতএব এর যোজনী 6। (সংজ্ঞা মতে, উক্ত যৌগে তিনটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত রয়েছে, তাই যোজনী অক্সিজেন এর তিনগুণ)।
খ) পরিবর্তনশীল যােজনী ও সুপ্ত যােজনী হিসাব
পরিবর্তনশীল যোজনী: কোন মৌলের একাধিক যোজনী প্রদর্শিত হলে সেই মৌলের যোজনী কে পরিবর্তনশীল যোজনী বলা হয়।
প্রশ্নের, PCl₅, PCl₃, PI₅ যৌগ তিনটি খেয়াল করলে দেখা যায়, P এর যোজনী যথাক্রমে 5, 3, 5। এখানে P এর পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শিত হয়।
আবার, SO₂, SO₃ যৌগ দুইটি খেয়াল করলে দেখা যায়, S এর যোজনী যথাক্রমে 4, 5। এখানে, S র পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শিত হয়।
সুপ্ত যোজনী: কোন মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী এবং সক্রিয় যোজনী পার্থক্য হলো, ওই মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।
এখানে PCl₅ এ যৌগে এর P সক্রিয় যোজনী 5 এবং P এর সর্বোচ্চ যোজনী 5। অতএব এ যৌগে এর P সুপ্ত যোজনী =5-5 =0
PCl₃ এ যৌগে এর P সক্রিয় যোজনী 3 এবং P এর সর্বোচ্চ যোজনী 5। অতএব এ যৌগে এর P সুপ্ত যোজনী =5-3 =2
PI₅ এ যৌগে এর P সক্রিয় যোজনী 5 এবং P এর সর্বোচ্চ যোজনী 5। অতএব এ যৌগে এর P সুপ্ত যোজনী =5-5 =0
SO₃ এ যৌগে S এর সক্রিয় যোজনী 6 । আবার S এর সর্বোচ্চ যোজনী 6। অতএব এই যৌগে S এর সুপ্ত যোজনী =6-6 =0
এখানে SO₂ এ যৌগে S এর সক্রিয় যোজনী 4 । আবার S এর সর্বোচ্চ যোজনী 6। অতএব এই যৌগে S এর সুপ্ত যোজনী =6-4 =2
(বাকি সব মৌলে তাদের নিজেদের যোজনী বিদ্যমান)।
রসায়ন ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
গ) তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সমূহের ব্যবহার
যেসকল মৌলের আইসোটোপ হতে তেজস্ক্রিয় রশ্মি (আলফা, বিটা, গামা) নির্গত হয় তাদেরকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে।
প্রশ্নের যৌগ গুলো হল, H₂O, CO₂, CCl₄, PCl₅, PCl₃, PI₅, SO₂, SO₃ । এদের মধ্যে ফসফরাস, আয়োডিন, কার্বন মৌল সমূহের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ রয়েছে। নিজেদের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
কার্বনের একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হল ¹⁴C
আয়োডিনের দুইটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হল : ¹³¹I,¹²⁵I
ফসফরাসের একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হল ³²P
উপরের তিনটি মৌলের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিদ্যমান।
আয়োডিনের তেজস্ক্রিয় মৌলের ব্যবহার:
¹²⁵I এর ব্যবহারঃ এই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ টি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ক্যান্সার নিরাময় ব্যবহার করা হয়।
¹³¹I এর ব্যবহারঃ এই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ইহা থাইরয়েড ক্যান্সার নিরাময় এর জন্য পরিমাণমতো দ্রবণ তৈরি করে রোগীকে পান করানো হয়। এতে উক্ত আইসোটোপ থেকে বিটা রশ্মি নির্গত হয় এবং উক্ত বিটা রশ্মি থাইরয়েড ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে।
ফসফরাস এর তেজস্ক্রিয় মৌলের ব্যবহার:
³²P এর ব্যবহারঃ কৃষিক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় যুক্ত ³²P ফসফেট দ্রবণ উদ্ভিদের মূলধারায় সূচিত করা হয়। গাইগার কাউন্টার ব্যবহার করে পুরো উদ্ভিদে এর চলাচল চিহ্নিত করে, ফসফরাসের ব্যবহার করে উদ্ভিদ উঠে তা জানা যায়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে লিউকেমিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ³²P ফসফেট ব্যবহৃত হয়।
কার্বনের তেজস্ক্রিয় মৌলের ব্যবহার:
পৃথিবীর বয়স নির্ধারণ এবং ফসিল মমি সহ পৃথিবীর নানারকম আদিম জিনিসের বয়স নির্ধারণে ¹⁴C এর ব্যবহার রয়েছে।
জীববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর (এসএসসি- ৬ষ্ঠ সপ্তাহ)
হিসাববিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
ক) কারবারি বাট্টা ও নগদ বাট্টার মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা;
খ) লেনদেন হতে ক্রয় জাবেদা প্রস্তুত করা;
গ) লেনদেন হতে ক্রয় ফেরত জাবেদা প্রস্তুত করা;
(ক) উত্তরঃ
প্রশ্নের উত্তর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বা দেনা পাওনা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছু টাকা মওকুফ করা হলে বা ছাড় দেওয়া হলে, তাকে বাট্টা বলে।
বাট্টা দুই প্রকার। যথা
ক. কারবারি বাট্টা খ. নগদ বাট্টা
ক. কারবারি বাট্টা ও নগদে বা ধারে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের নির্ধারিত মূল্য থেকে কিছু টাকা মওকুফ করা হলে বা ছাড় দেওয়া হলে, তাকে কারবারি বাট্টা বলে। কারবারি
বাট্টা আবার দুই প্রকার। যথা ও ক্রয় বাট্টা ও নগদে বা ধারে পণ্য ক্রয় করার সময় তালিকা মূল্য থেকে যে পরিমাণ টাকা ছাড় বা মাফ পাওয়া যায়, তাকে ক্রয় বাট্টা বলে। যেমন ও
একটি পণ্যের তালিকা মূল্য ১,০০০ টাকা, কিন্তু তা ৯৫০ টাকায় ক্রয় করা হলাে, পার্থক্য ৫০ টাকাই ক্রয় বাউ্টা। বিক্রয় বাট্টা ও নগদে বা ধারে পণ্য বিক্রয় করার সময় তালিকা মূল্য
থেকে যে পরিমাণ টাকা ছাড় দেওয়া হয় বা মাফ করা হয়, তাকে বিক্রয় বাটা বলে। যেমন ও তালিকা মূল্যের ২০০ টাকার পন্য ১৭০ টাকায় বিক্রয় করা হলাে, পার্থক্য ৩০ টাকাই বিক্রয়
বাট্টা। খ. নগদ বাট্টা ও দেনা পাওনা নিম্পত্তির ক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা ছাড় দেওয়া হয় বা পাওয়া যায়, নগদ বাট্টা বলে। নগদ বাট্টা আবার দুই প্রকার। যথা ও তাকে প্রদত্ত বাউটা ও
কোনাে ব্যবসায়ী তার পাওনা টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে দেনাদারকে যে পরিমাণ ছাড় দেয় তাকে প্রদত্ত বাট্টা বলে। যেমন ও একজন দেনাদার ১,০০০ টাকার পূর্ণনিষ্পত্তিতে ৯৮০ টাকা পরিশােধ করলাে।
SSC 2021 Accounting 6th Week Assignment Solution
এক্ষেত্রে পার্থক্য ২০ টাকাই প্রদত্ত বাট্টা। প্রাপ্ত বাট্টা ও কোনাে ব্যবসায়ী তার দেনা পরিশােধের সময় পাওনাদারদের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা ছাড় পায়, তাকে প্রাপ্ত বাট্টা বলে।
যেমন ও ৫০০ টাকা দেনার পূর্ণ নিষ্পত্তিতে পাওনাদারকে ৪৮৫ টাকা প্রদান করা হলাে। এক্ষেত্রে পার্থক্য ১৫ টাকাই প্রাপ্ত বাট্টা।
নিম্নে কারবারি বাট্টা ও নগদ বাট্টার মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলাে ও ১. কারবারি বাট্টা ও ক. কারবারি বাট্টা লেনদেন নয়। খ. যেহেতু কারবারি বাট্টা লেনদেন নয় তাই কারবারি
বাট্টা হিসাবের বহিতে লিপিবদ্ধ হয় না।
গ. কারবারি বাট্টাকে ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের এর তালিকা মূল্য থেকে বাদ দিয়ে ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
২. নগদ বাট্টা ও ক. নগদ বাট্টা লেনদেন। খ. যেহেতু নগদ বাট্টা লেনদেন তাই হিসাবের বহিতে লিপিবদ্ধ হবে। গ. নগদ বাট্টা অনগদ লেনদেন। প্রদত্ত বাট্টা কারবারে ব্যয়ের মধ্যে পড়ে এবং প্রাপ্ত বাট্টা আয়ের মধ্যে পড়ে।
(খ) উত্তরঃ
(গ) উত্তরঃ
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এসাইনমেন্ট সমাধান
ssc assignment 2021 6th week finance and banking answer
ক) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা
খ) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার পার্থক্য
গ) ঝুঁকির শ্রেণি
ঘ) আদর্শ বিচ্যুতির মান নির্ণয়
ঙ) আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ
ক) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা
সাধারণ অর্থে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাকে ঝুঁকি বলে। যখন কোনো খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কার প্রকৃতি জানা যায় না তাকে অনিশ্চয়তা বলে। ঝুঁকি পরিমাপ করা যা পরিমাপযোগ্য।
অর্থাৎ ঝুঁকিকে আগেই পরিমাপ করা যায়। অনিশ্চয়তাকে পরিমাপ করা যায না। ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। যেহেতু ঝুঁকি আগেই পরিমাপযোগ্য তাই বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে তা কমানো যায়। যেহেতু অনিশ্চয়তা পরিমাপ করা যায় না, তাই অনিশ্চয়া হ্রাস করাও যায় না।
ব্যাপক অর্থে, প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশিত ফলাফল থেকে ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বলে। অনিশ্চয়াতার যে অংশ গাণিতিক ভাবে পরিমাপ করা যায় তাই ঝুঁকি। বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা থেকে প্রাপ্তির একটি ব্যবধান থাকে এবং এ ব্যবধান হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।
ফিন্যান্স ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর
উদাহরণ: রফিক ২০২১ সালের এস এস সি পরীক্ষার্থী। করোনা ভাইরাসের কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষা হবে কি না, পরীক্ষা হলে ভাল ফলাফল করতে পারবে কিনা, ফলাফলের পর ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবে কিনা, এ সবই অনিশ্চয়তা।
অনুরূপভাবে, একজন বিনিয়োগকারী শেয়ার ক্রয় করে কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ পাবে কিনা, ভবিষ্যতে কোম্পানির আশানুরূপ পণ্যের বিক্রি হবে কিনা, প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারবে কি না এ সবই অনিশ্চয়তা।
আবার, বিস্কুট কোম্পানি আশা করছে আগামী বছর ১৫% নিট মুনাফা করবে। কিন্তু প্রকৃত নিট মুনাফা হলো ৮%। এখানে এই ৭% বিচ্যুতি হলো ঝুঁকির উৎস। বিনিয়োগকারী প্রতি শেয়ারে যখন ১৫ টাকা লভ্যাংশ প্রত্যাশা করে বছর শেষে ২০ টাকা লভ্যাংশ পায়, তখনো এই ৫ টাকা বিচ্যুতি ঝুঁকির উৎস বলে বিবেচিত হয়।
খ) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পার্থক্য
যদিও অনিশ্চয়তা থেকে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তবুও ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
প্রথমত, সব অনিশ্চয়তা ঝুঁকি নয়। খারাপ কোনো ঘটনা ঘটার র আশঙ্কাই হচ্ছে ঝুঁকি। অনিশ্চয়তার যে অংশটুকু পরিমা করা যায় সে অংশকে ঝুঁকি বলা হয়। কিছু কিছু অনিশ্চয়তা আছে, যা পরিমাপ করা যায় না।
উদাহরণ: একটি কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তার মৃত্যু হতে পারে, এটা একটা অনিশ্চয়তা, কিন্তু এই অনিশ্চয়তাকে পরিমাপ করা যায় না। ফলে এই রকম অনিশ্চয়তাকে ঝুঁকি ঝুকি বলা যায় না
দ্বিতীয়ত, ঝুঁকি পরিমাপ করা যায় বলে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে ঝুঁকির পরিমাণ কমানো যায়। কিন্তু অনিশ্চয়তাকে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে কমানো বা পরিহার করা যায় না।
উদাহরণ: ভূমিকম্পের কারণে কোনো কোম্পানির অফিস দালান ভেঙে যেতে পারে, কিন্তু ভূমিকম্প কোম্পানির পারে না। পক্ষান্তরে, আগামী বছর কোম্পানির বিক্রয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা একটি ঝুঁকি। কারণ, এই ঝুঁকি পরিমাপ করা যায় এবং এই ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কোম্পানি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। যেমন: অগ্রিম বিক্রি করতে পারে।
গ) ঝুঁকির শ্রেণি
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিদ্ধান্তের সাথে কিছু না কিছু ঝুঁকি জড়িত থাকে। এসব ঝুঁকির কারণে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে এসব ঝুঁকি যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হয়। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য এসব ঝুঁকির উৎস ও শ্রেণি খুঁজে বের করা জরুরি। এ ব্যাপারে কারবারের প্রেক্ষাপট আর বিনিয়োগকারীর প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকি দুই ধরনের –
(১) ব্যবসায়িক ঝুঁকি: ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সফলভাবে চালানোর জন্য বিভিন্ন রকম পরিচালনা ব্যয়ের সৃষ্টি হয়। উদাহরণস্বরূপ, কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকদের বেতন, অফিস ভাড়া, বিমা খরচ ইত্যাদি। এসব পরিচালনা খরচ পরিশোধের অক্ষমতা থেকে ব্যবসায়িক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। কোনো কোম্পানির পরিচালনা ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নির্ভর করে বিক্রয় থেকে আয়ের স্থিতিশীলতা এবং পরিচালনা খরচের মিশ্রণ অর্থাৎ স্থায়ী এবং চলতি খরচের অনুপাতের উপর।
বিক্রয় আয়ে স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থাৎ বিক্রয়লব্ধ কোনো সময় আয় বেশি আবার কোনো সময় কম হলে, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ব্যয় মেটাতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। আবার পরিচালন ব্যয়ে স্থায়ী খরচ যেমন: অফিস ভাড়া, বিমা খরচ ইত্যাদির পরিমাণ বেশি হলে ব্যবসায়িক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান
(২) আর্থিক ঝুঁকি: কোনো প্রতিষ্ঠানের দায় পরিশোধের অক্ষমতা হতে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় আর্থিক ঝুঁকি। যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের মাধ্যেমে সংগ্রহীত তহবিল বেশি, সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঝুঁকি বেশি। কারণ ঋণ মূলধনের সুদ প্রদান করা বাধ্যতদামূলক।
পক্ষান্তরে, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হলে মুনাফা বন্টন বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুকি দুই ধরনের__
i) সুদ হারের ঝুঁকি: যেসব বিনিয়োগকারী বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ক্রয় করে, তাদেরকে সুদ হারের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয়। কারণ বাজারে সুদের হারের পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের বিনিয়োগের মূল্য উঠা-নামা করে। সুদের হার বাড়লে এসব বিনিয়োগের অর্থাৎ বন্ড, ডিবেঞ্চারের বাজারমূল্য কমে, আবার সুদের হার কমলে এসব বিনিয়োগের বাজারমূল্য বাড়ে। সুদের হারের পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগের মূল্য হ্রাসের আশঙ্কাকেই সুদ হারের ঝুঁকি বলা হয়।
ii) তারল্য ঝুঁকি: ন্যায্য বা যুক্তিসংগত মূল্যে বিনিয়োগ বিক্রয় করতে না পারার ঝুঁকিকে তারল্য ঝুঁকি বলা হয়। বিনিয়োগকারী শেয়ার, বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইত্যাদিতে বিনিয়োগের পর যে কোনো সময় এসব বিনিয়োগ নগদায়নের প্রয়োজন হয়। আশা করা হয়, বিনিয়োগকারী এসব বিনিয়োগ যুক্তিসংগত মূল্যে বিক্রয় করে নগদায়ন করতে পাবে।
ফিন্যান্স ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর
কিন্তু কোনো কারণে যদি বিনিয়োগকারী সহজে এবং যুক্তিসংগত মূল্যে বিক্রয় করতে না পারে, তখন তারল্য ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। তারল্য ঝুঁকি সাধারণত যে বাজারে এসব বিনিয়োগ যথা: শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি কেনাবেচা হয়, সে বাজারের আকার এবং কাঠামোর উপর নির্ভর করে।
ঘ) আদর্শ বিচ্যুতির মান নির্ণয়
ঙ) আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ
উদ্দীপকের ‘অরণ্য ও অনন্য’ প্রকল্প দুটির বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গড় আয়ের হার ১৫% (ঘ হতে) অর্থাৎ একই। প্রকল্প দুটির মধ্যে অরণ্য এর আদর্শ বিচ্যুতি ৯.১৩% (ঘ হতে) এবং অনন্য এর আদর্শ বিচ্যুতি ৩.৫৬% (ঘ হতে)। যে প্রকল্পের আদর্শ বিচ্যুতি বেশি, সেই প্রকল্পের ঝুঁকি বেশি, আর যে প্রকল্পের আদর্শ বিচ্যুতি কম সেই প্রকল্পে ঝুঁকি কম।
এখানে অরণ্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে (৯.১৩ – ৩.৫৬ ) ৫.৫৭ % ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই অনন্য প্রকল্পে ঝুঁকি কম ও নিরাপদ আর অরণ্য প্রকল্পের ঝুঁকি বেশি এবং গ্রহণযোগ্যতা কম। ফলে অরণ্য প্রকল্পের তুলনায় অনন্য প্রকল্প অধিক গ্রহণযোগ্য।















0 Comments