মাঘ মাসের কৃষি(১৫ জানুয়ারি- ১৩ তারিখ)

কৃষিবিদ ফেরদৌসী বেগম

মাঘ মাস। শীতের আগমন। এ জলত্যবায়ু পরিবর্তনে শৈপ্রবাহ শীতের তীব্রতাকে আরও শক্তি দেয়। শীতের সন্ধানী মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করতে কৃষক-কৃষানি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেননা এ সময় কৃষিটা এক ব্যস্ততার সময়। তাই আমরা আমরা নেই মাঘ মহ কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো।


বোরো ধান

ইউরিয়া সারে উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। এর চারা রোপ ১৫-২০ দিন পর প্রথম কিস্তি, ৩০-৪০ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তি এবং ৫০-৫৫ দিন পর শেষ কিস্তি হিসেবে ইউরিয়া সারিপ্রয়োগ করতে হবে। বোরো ধানে সেচ প্রদান, আগাছা দমন, বালাই ব্যবস্থা সহ অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে। রোগ ও ধান থেকে গাছকে বাঁচাতে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থা পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ, আন্তঃপরিচর্যা, জন্ত্রিক দমন, প্রযুক্তি পোকা সংরক্ষণ, ক্ষতে ডালপালা পুঁতে পাখির ব্যবস্থা করা, আলোর ফাঁদ মুসলিমের মাধ্যমে ক্ষেত বা মুক্ত করতে পারেন। রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিহত করা না শেষ উপায় হিসাবে পরামর্শের পরামর্শ নিয়ে সঠিক বালাইনাশক, সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।

গম

গমের এলাকাতে যেখানে নকল করে চারা রয়েছে তা পাল্টাতে হবে। গাম গাছ থেকে যদি শিষ বেড় হয় বা গাম গাছের বয়স ৫৫-৬০ দিন হয় তবে জরুরীভাবে গমক্ষেতে একটি সেচ দিতে হবে। ট্যাগ গমের ফলন বাড়ান। ভালো ফলনের জন্য দানা গঠনের সময় বারবার সেচ দিতে হবে। গম ইঁদুর দেওর কাজটি সকলে ক্ষেতের কাজটি করতে হবে।

ভুট্টা

ভুট্টা ক্ষতে গাছের গোড়ার মাটি দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে ভুট্টা বাগান ফল আর্মিওয়ার্ম, আর্মিওয়ার্ম ইত্যাদি পোকার আক্রমণ দেখা যায়। মুসলিম গাছ থেকে লার্ভাগুলো হাত সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে। আক্রমণের খেলা বেশি হলে স্পেনোসেড (ট্রেসার ৪৫এস@০.৪ মিলি./লিটার) বা এবামেকটিন বেজোয়েট (প্রোক্লেম ৫ এসজি বা সাহাম ৫ এসজি @ ১ গ্রাম/লিটার) বানাশকলাই প্রয়োগ করতে হবে।

আলু

আলু চাষে নাবি ধসা রোগ দেখা দিতে পারে। সে কারণে ¯প্রয়িং শিডিউলে বোঝাতে হবে। মড়ক রোগ দমনেদের না করে ২ গ্রাম এক্সট্রামিল অথবা ডাইথেন এম ৪৫ অথবা সি কিউর অথবা মেলুডি ডুও প্রতি লিটার পানির সাথে জোটকে প্রত্যাহার করতে হবে। মুড়ক লাগাতে সেচ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। শুধু আলু চাষে মালচিং, সেচ প্রয়োগ, আগাছা দমের কাজগুলো করতে হবে। আলু গাছের পুরানো ৮০ দিন হলে মাটির ওপর ১০টা করে দাঁড় করাতে হবে এবং পরে আলুতে দিতে হবে। খুব সহজে ও কম খরচে আলু উত্তোলন করতে পটেটো ডিগগার ব্যবহার করুন। ক্ষতি হার ১% এর শক্তি এবং ৫০% সাশ্রয় হয়। আলু কাছের পর ভালো করে শুকিয়ে বাছাই করতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।

তুলা

তুলা সংগ্রহের কাজ এ মাস শুরু করতে হবে। তুলা সাধারণত ৩ সংগ্রহ করা হয়। শুরুতে ৫০% বোল ফালে প্রথমবার, বাকি পরে ৩০% পরিপাক্ব হলে দ্বিতীয় বার এবং অবশিষ্ট চাষের শেষ অংশে তুলা সংগ্রহ করতে হবে। রৌদ্রময় শুকনা বীজ তুলা উঠতে হয়। ভালো তুলার সাথে খারাপ তুলা (পোকথা, রোগ আক্রান্ত) না মেশে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভাল তুলা সামনে আলোচনা ৩-৪ বার রোদে শুকিয়ে বাস্তায় ভরে মাচা বা দানেসের উপর সংরক্ষণ করতে হবে। ইঁদুর নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল করতে হবে।

ডাল ও তেল গাছ

মসুর, ছোলা, মটর, মাসকালাই, মুগ, তিসি এ সময় পাকে। সরিষা, তিসি বেশি পাকলে রোদের তাপে ফেটে গিয়ে পড়তে পারে, তাই ৮০ ভাগ পাকলে সংগ্রহের ব্যবস্থা নিতে হবে। ডাল চাষের ক্ষেত্রে গাছ গোড়া সহ না উঠা মাটি থেকে কয়েক ইঞ্চি জমি সংগ্রহ করতে হবে। প্রকল্প জমির উর্বরতা এবং নাইট্রোজেন সরবরাহ বাড়বে। এ সময় চর অঞ্চলে পেঁয়াজের বিলে বাগান হিসাবে বাদাম চাষ করতে পারেন।

শাকসবজি

বেশি ফলন পেতে শীতকালীন শাকসবজি যেমন ফুলকপি, গাজপি, টমেটো, বেগুন, ওপিলক, শালগম, শিম, লাউ, কুমড়া, মটরশুঁটি অনেকের মত যত্ন নিতে হবে। উত্তম কৃষি অনুশীলন অনুসরণ করে জৈব সার, জৈব বালাইনাশক, ফেরোমন ফাঁদ সমন্বিত বালাই ব্যবস্থার মাধ্যমে বালাই দমন করতে হবে। দিতে শীতকালেজি মাটি রসেক্ষে বলা যায় সব চাহিদামাফিক সেচ হবে।

গাছপালা

শীতে গাছের গোড়ায় সেচ দিতে হবে। গোড়ার মাটি আলগা দিতে হবে এবং আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। সাধারণত এ সময় আমগাছে মুকুল আসে। গাছে মুকুল ডাক্তার পর ফুল ফোটার আগে টি-২৫০ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি অথবা ১ মিলি কনজা প্লাস অথবা ২ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি লিটার পানিতে ¯লেপ্র করতে হবে। পরিবর্তন মুকুলে অসংখ্য হপার নিম্ফ দেখা যায়। আম গাছে মুকুল বিধায়ক ১০ এর মধ্যে কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বেই একবার এবং এর একমাস পর আর একবার প্রতি লিটার পানির সাথে ১.০ মিলি সিমবুস/ফেনম/ডেসিস ২.৫ ইসি গাছ গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালকে ভালোভাবে ভিজিয়ে ¯েপ্র করতে হবে।

ক্যাসিসম্পদ

শীতকালে পোল্ট্রিতে অপুষ্টি, রানীক্ষেত, মাইকোপ্লাজমোসিস, ফাউল টাইফয়েড, পেটে শক্তি জমা সমস্যা দেখা যায়। মোরগ-মুর্গির অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন এ, সি, ডি, ই, কে ও ফলিক এসিড সরবরাহ করতে হবে। শীতের তীব্রতা বেশি হলে পোল্ট্রিকে চ্যাটা প্লে লাগাতে হবে এবং বাতাসের আশ্রয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পোল্ট্রি লিটারে অ্যামোনিয়ার বিরোধীয় ১ বর্গফুট জায়গায় ১ কেজি হারে অ্যামোনিল পাউডার মিসেতে হবে। গোখামারে শীতকাল মোটা চটের ব্যবস্থা করা খুব জরুরি। নাহলে গাভীগুলো দ্রুত অনুরোধ করা যাবে।

মৎস্যসম্পদ

পুকুরে পানি নিতে নরমাল বলে দুষিত হয়ে যায় শীতকালে মাছের বিশেষ। কার্প ও শিং জাতীয় মাছে ড্রপসি বা উদর ফোলা রোগ দেখা দেয়। মাছের ক্ষত্ররোগ যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ রোগের প্রতিকারে প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ১০০ মিলি টেরামাইসিন বা স্ট্রেপটোমাইসিন পর পর ৭ দিন মেনে নিতে হবে। মাছ চাষের বিষয়ে

বোরো ধানের বীজতলা তৈরি

অগ্রহায়ণ মাস বোরো ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। রোদ পড়ে এমন উর্বর ও সেচ সুবিধাযুক্ত জমি বীজতলার জন্য নির্বাচন করতে হবে। চাষের আগে প্রতি বর্গমিটার (প্রায় ১ ফুট x ৩.৫ ফুট) জায়গার জন্য ২-৩ কেজি জৈব সার দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। পানি দিয়ে জমি থকথকে কাদা করে এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে ভেজা বীজতলা তৈরি করতে হবে। যেসব এলাকায় ঠান্ডার প্রকোপ বেশি সেখানে শুকনো বীজতলা তৈরি করতে পারেন। প্রতি দুই প্লটের মাঝে ২৫-৩০ সেমি. (প্রায় ১ ফুট) নালা রাখতে হবে।

 

যেসব এলাকায় সেচের পানির ঘাটতি থাকে সেখানে আগাম জাত হিসেবে ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪৫ এবং ব্রি ধান৫৫, উর্বর জমি ও পানি ঘাটতি নাই এমন এলাকায় ব্রি ধান২৯, ব্রি ধান৫০, ব্রি ধান৫৮, ব্রি ধান৫৯, ব্রি ধান৬০, ব্রি হাইব্রিড ধান১, ব্রি হাইব্রিড ধান২ ও ব্রি হাইব্রিড ধান৩, ঠান্ডা প্রকোপ এলাকায় ব্রি ধান৩৬, হাওড় এলাকায় বিআর১৭, বিআর১৮, বিআর১৯, লবণাক্ত এলাকায় ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৫৫, ব্রি ধান৬১ চাষ করতে পারেন। বীজ বপন করার আগে ৬০-৭০ ঘন্টা জাগ দিয়ে রাখতে হবে। এসময় ধানের অঙ্কুর গজাবে। অঙ্কুরিত বীজ বীজতলায় ছিটিয়ে বপন করতে হবে। প্রতি বর্গমিটার বীজ তলার জন্য ৮০-১০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।