শিক্ষক/সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য বিশেষ ক্ষুদ্র ঋণ সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
সরকারী চাকুরীজীবীদের আয় সীমিত হওয়ার ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান সাধারণ। সীমিত আয়ের এই পেশাজীবীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপন্য ক্রয়ের ক্ষমতা বাড়ানো এবং বিভিন্ন প্রকার আয়বর্ধক বৈধ কার্যক্রমে ঋণ সহায়তার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড নিম্নবর্ণিত বিশেষ ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী চালু করেছে:
ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা:
* বেসরকারী/স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারী/বেসরকারী (এমপিওভুক্ত কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক/মাধ্যমিক বিদ্যালয়)-এর শিক্ষকবৃন্দ। আবেদনকারীকে স্থায়ী চাকুরীজীবী হতে হবে এবং এলপিআর-এ যাবার তারিখ পূর্ণ হতে কমপক্ষে তিন বৎসর চাকুরী থাকতে হবে।
* সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর যে সকল শাখার মাধ্যমে বেতন ভাতা প্রদান করা হয় কেবলমাত্র ঐ সকল শাখা হতে এই বিশেষ ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে।
ঋণ সীমা:
২০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
মার্জিন:
ঋণ সীমার ২০ শতাংশ।
মেয়াদ ও কিস্তি:
মেয়াদ ১২ মাস থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত। মেয়াদের উপর ভিত্তি করে মাসিক কিস্তির টাকা নির্ধারিত হবে।
সুদের হার:
১২ শতাংশ হারে (সরল সুদ) যা পরিবর্তনযোগ্য।
খাতসমূহ: সোনালী ব্যাংক লোন কিস্তি
* পার্সোনাল কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার ক্রয়।
* সেলাই মেশিন, সুয়েটার বুনন মেশিন, এমব্রয়ডারী মেশিন ক্রয়।
* ফ্রিজ, ডিপ ফ্রিজ, টেলিভিশন, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রিক ফ্যান ক্রয়।
* সাইকেল/মোটরসাইকেল ক্রয়।
* সৌরশক্তি প্লান্ট, বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন।
* সবজি বাগান, নার্সারী স্থাপন।
* হাঁস-মুরগী পালন, গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, মৎস চাষ প্রকল্প।
* কৃষি পণ্যের বিপনন।
* বিভিন্ন মৌসুমী ফসল মজুদ।
* শিক্ষার জন্য বিনিয়োগ তথা সন্তানের উচ্চ শিক্ষা বাবদ ব্যয় নির্বাহ।
* ক্ষুদ্র ব্যবসা।
* বিবিধ আয় বর্ধক বৈধ কার্যক্রম।
(সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট ঋণের খাতসমূহ প্রযোজ্য হবে না।)
ব্যবসা সংশ্লিষ্ট খাতসমূহের পরিশোধ সূচী:
(৬ মাস গ্রেস পিরিয়ড এর ক্ষেত্রে) ব্যবসা বহির্ভূত খাতসমূহের পরিশোধ সূচী:
ঋণ হিসাব স্থানান্তর:
* সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্থায়ী বদলীর ক্ষেত্রে তাদের বদলীকৃত নতুন অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বেতন প্রদানকারী ব্যাংক কর্তৃক ঋণের কিস্তি কর্তনের বিষয়ে নিশ্চয়তা গ্রহণ করতে হবে। নিশ্চয়তা গ্রহনের পর যে শাখার মাধ্যমে উক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর বেতন ভাতা প্রদান করা হবে, সেই শাখায় ঋণ হিসাবটি স্থানান্তর করা যাবে।
ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচীর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যের জন্য সোনালী ব্যাংকের নিকটবর্তী শাখায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
সোনালী ব্যাংকে লোন নেওয়ার নিয়মগুলি সাধারণভাবে ব্যাংকের নীতিমালা, শর্ত, ও শর্তাবলী অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের ঋণের জন্য প্রযোজ্য। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি প্রমিনেন্ট ব্যাংক হিসেবে ব্যবসা করে। তাদের ঋণের জন্য নিয়মাবলী সাধারণভাবে অন্যান্য ব্যাংকের সাথে মিল রাখে, তবে এটি পরিবর্তন ও আপডেট হতে পারে।
সাধারণভাবে, লোন নেওয়ার প্রক্রিয়া একটি প্রাথমিক আবেদন থেকে শুরু হয় যা অনুসারে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট ঋণের জন্য আবেদন করার আগে, অনুসন্ধান করা উচিত যেনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সে ঋণের শর্ত ও শর্তাবলী জানে এবং ঠিক মানে পরিশ্রম করতে পারে।
এই ব্যাংকের সাথে ঋণের জন্য আবেদন করার জন্য সাধারণভাবে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকার হতে পারে, যেমনঃ
আবেদন ফরম
ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক তথ্য
আয় প্রমাণপত্র
ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ ডকুমেন্ট (যেমনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, ইত্যাদি)
ব্যবসায়িক প্রত্যাশিত মার্গনিষ্ঠ বা আইডি প্রমাণপত্র
এই ছাড়াও, সোনালী ব্যাংক অফিসিয়ালদের কাছে যোগাযোগ করা যেতে পারে যারা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও তথ্য অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে।
0 Comments