আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম

কোনো প্রকার চার্জ ছাড়াই একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে কয়টি সিমকার্ড নিবন্ধিত হয়েছে কোনো চার্জ ছাড়াই তা ঘরে বসে জানা যাবে। সাম্প্রতিককালে দুর্বৃত্তরা অপরাধ সংঘটনের জন্য আপনার অজান্তেই অপরিচিত সংযোগের নিবন্ধন করে নিয়েছে এনআইডিতে। নিরাপত্তার জন্য ঝামেলা এড়াতে আপনার এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে তা সহজেই জেনে নিতে পারেন।

যেভাবে জানবেন : যে কোনো মোবাইল থেকে কল অপশনে গিয়ে *১৬০০১# লিখে ডায়াল করুন। ডায়াল করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার এনআইডির শেষ চারটি ডিজিট লেখার জন্য অপশন আসবে। তখন এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা চাপুন। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ফিরতি মেসেজ আসবে। সেখানে আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধিত আছে সব চলে আসবে। এনআইডিতে নিবন্ধিত কোনো সিম আপনার না হলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে তা বন্ধ করে দিন

 

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জেনে রাখা ভালো। কারণ তাতে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার অজান্তে কোনো অসাধু ব্যক্তি আপনার নামে সিম নিয়ে ব্যবহার করছে কি না। সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল বা সংক্ষেপে সিম কার্ড ব্যবহার করতে হলে আমাদের সেটা নিবন্ধন করতে হয়। যে কেউ তার নিজের ভোটার আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারে

 

বিটিআরসি (BTRC)-এর ঘোষণা অনুযায়ী, একটি ডকুমেন্টের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যায়

 

অপ্রয়োজনীয় সিম চাইলে বাতিল করে দেয়া যায়। সে জন্য আপনাকে উক্ত সিমে অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। অপারেটরের এজেন্টের সহায়তা নিয়ে সহজেই সিম বাতিল করতে পারবেন। অন্যদিকে যদি সিমগুলো দরকারি হয়ে থাকে, তাহলে আপনার পরিবারের কারো নামে সিমের মালিকানাও পরিবর্তন করতে পারবেন

 

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জেনে রাখা ভালো। কারণ তাতে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার অজান্তে কোনো অসাধু ব্যক্তি আপনার নামে সিম নিয়ে ব্যবহার করছে কি না

আপনার নামে কয়টি সিম?

যদি আপনার সিম সচল থাকলে নির্দিষ্ট সিম থেকে *16001# লিখে ডায়াল করুন। রিপ্লাই please enter last digit of your ID অর্থাৎ, আপনার ভোটার আইডি কার্ডের শেষ ডিজিট লিখে রিপ্লাই করতে হবে

 

কিছু সময়ের মাঝেই আপনার মোবাইলে কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, কোন কোন নাম্বার registration করা হয়েছে সেসম্পর্কে একটি বিস্তারিত মেসেজ পাঠাবে

 

দুইবার টাইপ করতে না চাইলে সরাসরি সরাসরি *16001*ভোটার আইডি কার্ডের শেষ 4 ডিজিট# (উদাহরণস্বরূপ, *16001*9829#) লিখে ডায়াল করলেও আপনার nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জানতে পারবেন। তবে, এখানে সম্পূর্ণ নাম্বার লেখা থাকবে না

 

নিরাপত্তা জনিত কারণে মাঝের ডিজিটগুলো গোপন রাখা হয়। নিচের ইমেজটি দেখুন, ফিরতি মেসেজে পাওয়া তথ্য অনুসারে সর্বমোট ৫টি নাম্বার আমার nid দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, যার মাঝে ৪টি গ্রামীনফোন এবং ১টি রবি অপারেটরের নাম্বার

 

এসএমএস এর মাধ্যমে সিম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ডের শেষ ডিজিট লিখে ১৬০০১ নাম্বারে মেসেজ পাঠাতে হবে। ফিরতি রিপ্লাইয়ে একইভাবে আপনার কতগুলো সিম এই NID দিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে, তা জানতে পারবেন

সিম নিবন্ধন যাচাই করার উপায়


আপনার বর্তমানে ব্যবহৃত যেকোনো গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক সিমের মাধ্যমে আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন হওয়া সিমের পরিমাণ জানতে পারবেন

সে জন্য আপনাকে *১৬০০১# ডায়াল করতে হবে। এই নম্বর ডায়াল করার পর ফিরতি মেসেজে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা দিতে বলবে। পর্যায়ে আপনার এনআইডি কার্ডের শেষের চারটি সংখ্যা সাবমিট করে সেন্ড করুন। ফিরতি মেসেজে আপনার এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমগুলোর নম্বর দেয়া হবে

এখানে প্রিপেইড বা পোস্টপেইড যেই সিমই হোক না কেন সব নম্বর দেখাবে। তবে নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দিবে না। প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখাবে। ঠিক অনেকটা রকম ৮৮০১৫*****১২৩

সকল অপারেটর সিম নিবন্ধন চেক

1. গ্রামীণফোন সিম নিবন্ধন

 

আপনি যদি *১৬০০১# ডায়াল করে আপনার গ্রামীণফোন সিম নিবন্ধন যাচাই করতে সামর্থ্য না হন, তবে এসএমএস অপশানে ‘‘Info’’ লেখাটি দিয়ে 4949 নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে আপনার নামের অধীনে কতটি নম্বর নিবন্ধভুক্ত রয়েছে তা পরীক্ষা করুন

 

For instance, আপনি যদি অন্য কোনও ব্যক্তির nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা চেক করতে চান তবে “Reg 17 digit NID Number” টাইপ করে 4949 নম্বরে এসএমএস প্রেরণ করুন

2. বাংলালিংক সিম নিবন্ধন চেক

ডায়াল করুন *16001*2# নম্বরে। ফিরতি এমএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নামে কয়টা সিম নিবন্ধিত হয়েছে

3. রবি সিম নিবন্ধন চেক

*16001*3# ডায়াল করুন ফিরতি এমএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নামে কয়টা সিম নিবন্ধিত হয়েছে

4. এয়ারটেল সিম নিবন্ধন চেক

*121*4444# ডায়াল করুন। ফিরতি এমএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নামে কয়টা সিম নিবন্ধিত হয়েছে


আপনি যদি অন্য কোনও ব্যক্তির নামের সিম নিবন্ধন যাচাই করতে চান তবে সর্বসম্মত *১৬০০১# কোডটি ব্যবহার করুন

5. টেলিটক সিম নিবন্ধন চেক

info লিখে এমএমএস করুন 1600 নম্বরে। ফিরতি এমএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নামে কয়টা সিম নিবন্ধিত হয়েছে

হারানো সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা

যদি আপনার সিম হারিয়ে যায়, তাহলে তা বন্ধ করতে কিংবা পুনরায় উত্তোলন করতে যে এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করা ছিল, তা সাথে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য হারানো সিম কার নামে রেজিস্ট্রশন করা ছিল তা জানা জরুরী

হারানো সিম কোন NID কার্ড দিয়ে নিবন্ধন করা ছিল তা জানার জন্য প্রথমেই আপনার অন্য কোন সিম দিয়ে উপরের নিয়মে অনুসরণ করে মেসেজ অথবা ডায়াল করতে হবে। যদি ফিরতি মেসেজে নাম্বারের তালিকায় হারানো সিম থেকে থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চত হতে পারবেন, যে এই ভোটার আইডি দিয়েই রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল

যদি, এই তালিকায় না থাকে, তবে সম্ভাব্য কার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে থাকতে পারেন, তার মোবাইল নাম্বার থেকে সেই ব্যক্তির ভোটার আইডির শেষ ডিজিট ব্যবহার করে মেসেজ পাঠাতে হবে

 

তারপরেও কোন সমাধান না পেলে কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আপনার সমস্যা খুলে বলুন, তারা আপনাকে কিছু হিন্টস দিবে (যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ ডিজিট, অথবা সিম নিবন্ধনকারী ব্যক্তির নাম, ইত্যাদি) তারপর আপনি খুব সহজেই কার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানতে পারবেন

সিম রেজস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

NID Card দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা দেখার পর যদি আপনি কোনো সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান তবে, সেই সিম অপারেটরের নিজস্ব কাস্টোমার কেয়ারে ফোন দিয়ে কাস্টমার এজেন্ট এর সাথে কথা বলতে হবে

এজেন্ট এর কাছে আপনার সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ভেরিফিকেশনের জন্য নিজের নাম, পিতার নাম, ভোটার আইডি নাম্বার, ব্যালেন্স, সর্বশেষ রিচার্জের পরিমাণ ইত্যাদি জেনে ভেরিফাই করবেন। ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হলে তিনি আপনার সিমটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিবেন

আইনি জটিলতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং নিজেই নিজের নামে সিম নিবন্ধন করার সুযোগ রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনাকাঙ্খিত সিম নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। অবস্থায় কিভাবে সিম নিবন্ধন বাতিল করতে হয় তা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে তবে আলোচনার শুরুতে আমরা আপনাদের জানাতে চাই যে সিম নিবন্ধন কিভাবে চেক করতে হয়

অর্থাৎ আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা সম্পর্কে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে। অতঃপর আপনি যদি দেখেন যে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে অন্য কোন ব্যাক্তি সিম ব্যবহার করছে এক্ষেত্রে আপনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন

অন্য কারও নাম্বারে কথা বলা চেক

শুধুমাত্র গ্রামীণ ফোন গ্রাহকদের জন্য, পিতামাতা বা অভিভাবকরা চাইলে আপনার সন্তানের নাম্বার ট্র্যাক করে তার একটিভিটির দিকে নজর রাখতে পারেন আমি যে ট্রিকস টি দিচ্ছি তা শুধুমাত্র গ্রামীণফোন গ্রাহকদের কাজে লাগবে, বাংলালিংক , এয়ারটেল, টেলিটক রবি , সিটিসেল গ্রাহকরা বৃথা চেষ্টা করবেন না

✦✦✦ এবার যে গ্রামীণফোন নাম্বার ট্র্যাক করতে চাইছেন সেটার ০১৭ এর পর শেষের ডিজিট বসান তারপর First Name last Name বসান

✦✦✦ এবার আপনার নিজের ইমেইল আইডি টাইপ করুন , লক্ষ্য করুন আপনার ইমেইল আইডি টাইপ শেষ করার সাথে সাথে ডান Success লেখা এসেছে এবার ব্রাউজারের জন্য ট্যাবে আপনার ইমেইল আইডিতে লগইন করেন দেখুন GP eCare থেকে Email Verification Code কোড পাঠানো হয়েছে কোডটা কপি করে জিপির রেজিঃ পাতায় ফেরত যান

✦✦✦ এবার যে গ্রামীণফোন নাম্বার ট্র্যাক করতে চাইছেন সেটার ০১৭ এর পর শেষের ডিজিট বসান তারপর First Name last Name বসান

✦✦✦ এবার আপনার নিজের ইমেইল আইডি টাইপ করুন , লক্ষ্য করুন আপনার ইমেইল আইডি টাইপ শেষ করার সাথে সাথে ডান Success লেখা এসেছে এবার ব্রাউজারের জন্য ট্যাবে আপনার ইমেইল আইডিতে লগইন করেন দেখুন GP eCare থেকে Email Verification Code কোড পাঠানো হয়েছে কোডটা কপি করে জিপির রেজিঃ পাতায় ফেরত যান Verification Code এর ঘরে ইমেইল থেকে পাওয়া কোড পেস্ট করুন বা বসান

এবার বাকিতথ্য আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পুরন করার পর সঠিকভাবে ক্যাপচা কোড মিলান I have read and agree to theমার্ক করে Create My Account প্রেস করুন

সিমকার্ড নিবন্ধন হয়েছে কিনা বোঝার উপায়

পুনরায় মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধন নিশ্চিত করতে গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সিম নিবন্ধিত কি না বা সঠিকভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে কি না গ্রাহকরা তা ঘরে বসেই যাচাই করে নিতে পারবেন। ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, গ্রাহকরা তাদের মোবাইল থেকে এসএমএস করে অথবা মোবাইল অপারেটরের ওয়েবসাইটে গিয়ে সিম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। ২০১২ সালের পর কেনা সিমের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তথ্য পাঠিয়ে নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাই করতে পারবেন

✦✦ সিম নিবন্ধনের সঠিকতা যাচাইয়ের পদ্ধতি হলো :

গ্রামীণফোন,

বাংলালিংক,

রবি,

এয়ারটেল টেলিটকের

গ্রাহকরা মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ, পূর্ণনাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠাতে হবে। সিটিসেলের গ্রাহকরা মোবাইলের এসএমএস অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে U লিখে স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ, পূর্ণনাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ‘request has been accepted, Thank you for the information’ লেখা মেসেজ আসবে

এসএমএস পাঠানোর জন্য মোবাইল অপারেটরেরা কোনো টাকা কাটবে না ২০১২ সালের আগে কেনা মোবাইল সিমের বিপরীতে বিভিন্ন তথ্য (জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, বাবা মায়ের নাম ইত্যাদি) চেয়ে ১৫ অক্টোবর থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো শুরু করেছে অপারেটরগণ। যা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিমের নিবন্ধন করা না হলে ওই সিম বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগ। পরবর্তী সময়ে কোনো গ্রাহক যদি প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেন, তাহলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয় বিবেচনা করা হবে। নভেম্বর থেকে সকল মোবাইল অপারেটর সার্ভিস সেন্টার বা কাস্টমার কেয়ারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন চালু করবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে সারাদেশে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। ১৮ বছরের নিচে কারো কাছে সিম বিক্রয় করা যাবে না। তাদের সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছর নিচের বয়সীদের জন্য তাদের অভিভাবকদের নামে সিম নিবন্ধন করতে হবে

 

সিমের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়মঃ

উপরোক্ত যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জানতে পারার পর যদি আপনি অন্য কারোর রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সিমের আসল মালিকের নিকট সিমটি ফিরিয়ে দিন কিংবা নষ্ট করে ফেলুন

কিন্তু যদি সিমের মালিক আপনার পরিচিত হয় তাহলে সিমের মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। একইভাবে যদি কেউ আপনার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে এবং সে পরিচিত হয়ে থাকলে তাহার নামে মালিকানা পরিবর্তন করে নেয়াই উত্তম

মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য আপনি নিজে যার নামে পরিবর্তন করবেন দুজনকেই স্বশরীরে এনআইডি কার্ড বা ডকুমেন্ট নিয়ে নিকটস্থ কাস্টমার সেন্টার বা যেসকল দোকানে সিম রিপ্লেসম্যান্ট অন্যান্য কাজ করা হয়ে থাকে সেখানে উপস্থিত হতে হবে

কাস্টামার সেন্টারে থাকা সার্ভিস প্রোভাইডার ১০-২০ মিনিট সময়ের মাধ্যমে আপনার সিমের মালিকানা পরিবর্ত করে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে কিছু ফি লাগতে পারে। সর্বশেষ সিমের মালিকানা পরিবর্তন করার পর পুনরায় *16001# কোড ডায়াল করে সিমের মালিকানা যাচাই করে নিবেন।

আপনার নাম্বার কতটা নিরাপদ?

✦✦✦ বাংলাদেশে এক সময় মোবাইলে সিম নকল বা ক্লোন করে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিলো। এখন ্যাব বলছে শুধু মোবাইল নাম্বার নকল করছে একটি চক্র, যা নাম্বারটির প্রকৃত মালিক জানতেই পারছেনা। তাহলে এখন কি মোবাইল নাম্বারও নিরাপদ নয়?

 

✦✦✦ সাম্প্রতিককালে সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার থেকে কল যায় বিভিন্ন নম্বরে। অফার দেয়া হয় টাকার বিনিময়ে নানা সুবিধার। কেউ কেউ টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন আবার কারও কারও মনে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহেরও জন্ম দেয়

 

✦✦✦ একসময় অভিযোগ আসে পুলিশের এলিট ফোর্স ্যাবের কাছে এবং তাদের তদন্তে উঠে আসে মোবাইল নাম্বার জালিয়াতি করে অর্থ হাতিয়ে নেবার অভিনব উপায়। ্যাব - এর অধিনায়ক বলেছেন, ধরনের জালিয়াতির সাথে জড়িত ১৪ জনকে সহায়ক নানা উপকরণ সহ আটক করেছেন তারা

 

✦✦✦ কিন্তু কিভাবে একজনের মোবাইল নাম্বার তার অগোচরে নকল করে আরেকজন ব্যবহার করতে পারে ?

 

✦✦✦ জবাবে ্যাব - এর অধিনায়ক মিস্টার লুৎফুল কবীর বলেন আগে সিম ক্লোন করতো আর এখন শুধু নাম্বারটা ক্লোন করে ফলে সিমের মালিক টেরই পায় না। এটা ডেডিকেটেড সার্ভার প্রভাইডার দিয়ে করা হয়। আমেরিকা হয়ে বাংলাদেশের গেটওয়ে দিয়ে এই নকল নাম্বার দিয়ে কল বাংলাদেশে ঢুকে তিনি বলেন যারা পরিচালনা করে তারা প্যাকেজ আকারে এটা বিক্রি করে

✦✦✦ যার একটা স্মার্ট ফোন আছে সে অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারে। মোবাইল ফোনে ইনস্টল করে নিলে সহজভাবেই নাম্বার নকল সম্ভব। কিন্তু মিস্টার কবীরের সাথে পুরোপুরি একমত নন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির

 

✦✦✦ তিনি বলেন অপারেটরদের মধ্য থেকে কারও সহায়তা ছাড়া এটা করা সহজ হওয়ার কথা নয়। আর গেটওয়ে অপারেটরদেরকে অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে কলটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাদেরকেও ধরনের জালিয়াতি নাম্বার থেকে কল আসা প্রতিরোধে সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোনের চীফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হাসান বলছেন এখানে অপারেটরদের তেমন আর কিছুই করার নেই

 

✦✦✦ তিনি বলেন ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরদের বরং আরও পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে। বাংলাদেশে প্রায় চার বছর আগে মোবাইল সিম ক্লোন হচ্ছে অর্থাৎ একই নাম্বারের আরেকটি সিম জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মানুষকে সতর্ক করার উদ্যোগ নিয়েছিলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা ডিএমপি। বেশ কিছু পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার ফোনে অন্য প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের নম্বর থেকে ফোন করে নানা আদেশ নির্দেশ দেয়ার ঘটনা তদন্ত করে তখন সিম নকলের প্রমাণ পেয়েছিলো পুলিশ

 

✦✦✦ অপারেটর বিশেষজ্ঞসহ খাতের অনেকেই মনে করেন অ্যাপস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে সিমের মতো মোবাইল নাম্বার নকল প্রতিরোধে মূল ভূমিকা রাখতে হবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই। আর তাদের এটি করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মোবাইল অপারেটর ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত সহায়তা নিয়েই

 

✦✦✦ আর এটি করা সম্ভব হলেই নিরাপদ থাকবে মোবাইল নাম্বারগুলো, বন্ধ হবে নিজের অগোচরে মোবাইল নাম্বার অন্যের ব্যবহারের সুযোগ

 

ফেসবুকে ফোন নাম্বার দিয়েছেন?

✦✦✦ আপনি যদি আপনার ফোন নাম্বার ফেসবুকে দিয়ে রাখেন, তাহলে যে কেউ আপনার ঠিকানা আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য খুব সহজেই পেয়ে যাবে। আপনার বিভিন্ন প্রাইভেসি সেটিং থাকার পরও বিভিন্ন সাইবার অপরাধী আপনার দেয়া তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে

 

✦✦✦ ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী সল্ট এজেন্সির কারিগরি পরিচালক রেজা মইনুদ্দিন একটি কোড জেনারেট করেছেন, যা ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডার প্রত্যেক সম্ভাব্য নাম্বার সমন্বয় করেন।তারপর তিনি বাল্কের মধ্যে ফেসবুক এর অ্যাপ্লিকেশন বিল্ডিং প্রোগ্রাম (এপিআই) এর কাছে লক্ষ লক্ষ নম্বর পাঠিয়েছেন। বিনিময়ে, তিনি লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিগত প্রোফাইল অনিরুদ্ধ করেছেন

 

✦✦✦ মোবাইল নাম্বারের বিষয়ে ফেসবুকে খুব ভালভাবে নিরাপত্তা দেয়া নেই। ফলে সাইবার অপরাধীরা খুব সহজেই যে কোন একাউন্ট হ্যাক করতে পারে। তারা একাউন্ট হ্যাক করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে তা অন্যের নিকট বিক্রি করে। যাদের দ্বারা আপনার ক্ষতির আশংকা রয়েছে, তাদের কাছেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে দেয়

 

✦✦✦ ফেসবুকের কর্তৃপক্ষকে বিষয়ে অবগত করা হলেও তারা এর যথার্থ ব্যবস্থা নেয়নি। এখনও ফোনের বিষয়ে তারা কোন নিরাপত্তা যুক্ত করেনি। এতে বিশ্বব্যাপী .৪৪ বিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের একাউন্ট হ্যাক হবার আশঙ্কায় রয়েছেন

 

✦✦✦ এন ডি কর্পোরেশনের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগ দ্বারা গত বছরের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি অলাভজনক গ্লোবাল নীতি মনে করেন, ছবি, নাম, ফোন নম্বর, শিক্ষা ইতিহাস এবং অবস্থানগুলি অবৈধ সাইট এবং ট্রেডিং নেটওয়ার্কে বিক্রি করা যাবে

 

✦✦✦ এন ডি এর রিপোর্ট অনুযায়ী, টুইটার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চুরি করা এখন ক্রেডিট কার্ডের চেয়ে বেশি লাভজনক

 

ফোনে প্যাটার্ন লক ভুলে গেলে

✦✦✦ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের প্রাইভেসির জন্য আমরা অনেকেই প্যাটার্ন লক ব্যবহার করে থাকি। এই লক খুবই কার্যকরী কারণ এই লক ওপেন করা ছাড়া কেউ ফোনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। আবার এই প্যাটার্ন নিজেই ভুলে গেলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে মোবাইল ফোন রিসেট কিংবা কাস্টমার কেয়ারে যাওয়া ছাড়া আপনার হাতে আর কোন অপশন নাই।কেউ কেউ একে হার্ড রিসেট বলে কারণ এটি সেটের একচুয়্যাল ফ্যাক্টরি সেটিংস ফিরিয়ে আনে। আসুন জেনে নেই কিভাবে আমরা কোন অ্যান্ড্রয়েড সেট রিসেট দেবো

 

✦✦✦ প্রথমেই ফোনটির সুইচ অফ করুন, এবার ব্যাটারি ১০ সেকেন্ডের জন্য রিমুভ করুন। আবার ব্যাটারি লাগিয়ে একসঙ্গে ‘up volume key’, ‘Power button’ এবং ‘Home button’ চেপে ধরতে হবে যতক্ষণ না Recovery Mode Screen আসে। স্যামসাং মোবাইলের ক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতি কাজ করে। আবার সিম্ফোনি কিংবা ওয়াল্টন মোবাইলের ক্ষেত্রে মডেল অনুযায়ী ‘up volume key’, ‘Power button’ কিংবা ‘Down volume key’, ‘Power button’ চেপে ধরলেই Recovery Mode Screen চলে আসে এক্ষেত্রে হোম বাটনে চেপে ধতে হয় না

 

✦✦✦ এরপর ভলিউম কী ব্যবহার করে কার্সর নিচে নামিয়ে ‘wipe data/factory reset’ অপশনে আনুন এবং সিলেক্ট করার জন্য হোমে বাটনে প্রেস করুন। এখন নিশ্চিত করার জন্য আরেকটি স্ক্রিন আসবে এখানে ‘Yes’ বাটন সিলেক্ট করতে হবে

 

✦✦✦ এবার কিছুসময় অপেক্ষা করুন রিসেট হওয়ার পর আপনার ফোন আপনা-আপনি চালু হবে, ততক্ষন অপেক্ষা করুন

রিসেট করার সময় আপনাকে যা মনে রাখতে হবেঃ

✦✦✦ ১। ইন্টারনাল মেমোরি বা ফোন মেমোরির ইন্সটল করা সমস্ত অ্যাপ ডাটা হারিয়ে যাবে

✦✦✦ ২। ফোন মেমোরিতে সেভ করা ফোন নাম্বার মুছে যাবে

✦✦✦ ৩। আপনাকে আবারও আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ইন্সটল করে নিতে হবে

✦✦✦ ৪। আপনার কাস্টমাইজ করা সমস্ত সেটিংস মুছে যাবে

 

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন

✦✦✦ ১। বর্তমানে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সারা পৃথিবী জুড়ে এর বিস্তার। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে। বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক এর নিয়ম কানুন ভালভাবে জানেন না। জন্য অবশ্য অনেক বিরম্বনায় পড়তে হয় অনেক সময়। বিশেষ করে হয়রানির শিকার হয় মেয়েরা যেহেতু ফেসবুক এর মাধ্যমে অপরাধীকে খুজে পেতে অনেকটা কষ্টের ব্যাপার তাই ফেসবুক গোপনীয়তার অনেক অপশন আছে, সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেসি সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে

 

✦✦✦ ২। যেকোনো সময় আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে, জন্য আপনি আপনার ছবি, নোট, কিংবা জরুরী ফাইল এর ব্যকআপ রাখতে পারেন। ফেসবুক ব্যকআপ রাখার সুবিধা আছে। এর জন্য আপনাকে অ্যাকাউন্ট যেতে হবে তারপর অ্যাকাউন্ট সেটিং ক্লিক করতে হবে। এরপর Download a Copy এখানে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি নতুন পেজ আসবে সেখানে Start My Archive অপশনটি আসবে ওটাতে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার আসল প্রোফাইল এর মত একটি প্রোফাইল তৈরি হওয়া শুরু করবে। এই প্রোফাইলটাকে মূলত আমারা ব্যকআপ প্রোফাইল বলতে পারি। এই প্রোফাইলটি তৈরি হয়ে গেলে আপনার এমেইল একটি মেইল যাবে। তখন আবার আপনাকে অ্যাকাউন্ট অপশন থেকে অ্যাকাউন্ট সেটিং যেতে হবে। সেখানে Download Copy অপশন ক্লিক করলেই আপনি আপনার প্রোফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করা ফাইলটি জিপ ফরমেটে থাকবে। এটাকে আনজিপ করে নিতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট এর সবকিছু দেখতে পারবেন

 

✦✦✦ ৩। Security Question এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফেসবুক নিরাপদ রাখতে পারেন। এজন্য আপনাকে অ্যাকাউন্ট ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট সেটিং যেতে হবে। ওখানে কতগুলো প্রশ্ন দেখতে পাবেন, সেখান থেকে আপনার পছিন্দমত প্রশ্ন বাছাই করে তার উত্তর সেভ করে রাখুন। যদি কখনো আপনি পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট ঢুকতে পারবেন

 

✦✦✦ ৪। আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আপনার মোবাইল নম্বর যোগ করে রাখতে পারেন। যদি কখনো আপনার অ্যাকাউন্ট চুরি বা হ্যাক হয়ে যায় তখন আপনি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টটি উদ্ধার করতে পারবেন। জন্য আপনাকে অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট সেটিং ক্লিক করতে হবে, এর পর মোবাইল ক্লিক করুন। এরপর আপনি আপনার নম্বরটি যোগ করে দিন। যদি আপনার নম্বরটি যোগ না হয় তবে Add this phone number to my profile এর টিক চিহ্নটি তুলে দিন। আপনি আপনার মোবাইল থেকে F লিখে 32665 এই নম্বরে মেসেজ পাঠিয়ে দিন। কিছুক্ষন পরেই আপনার মোবাইল একটি ফিরতি মেসেজ আসবে সেখানে একটি কোড থাকবে সেটি আপনাকে বক্স লিখতে হবে এবং next ক্লিক করতে হবে

 

✦✦✦ ৫। সবাই যদি আপনার অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ড জেনেও যায় তাহলেও তারা কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট ঢুকতে পারবে না। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল- প্রথমে লগইন করতে হবে, অ্যাকাউন্ট অপশন থেকে অ্যাকাউন্ট সেটিং অপশন ক্লিক করতে হবে। এরপর সিকিউরিটি অপশন যেতে হবে এবং ক্লিক করতে হবে। তারপর নতুন একটি পেজ খুলে যাবে। তখন সেখানে লগইন নোটিফিকেশান অপশন এর দান পাশে এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ইমেইল এর পাশের বক্সের টিক চিহ্নটি তুলে দিয়ে changes ক্লিক করতে হবে। এখন লগইন আপ্রভাল এর ডান পাশে এডিট ক্লিক করলে Require me to enter a security code sent to my phone এর টিক চিহ্নটি তুলে দিতে হবে। এরপর Set up now তে ক্লিক করতে হবে। এরপর ফোন নাম্বার বক্স আপনার নম্বরটি দিতে হবে, তারপর Continue তে ক্লিক করতে হবে। এই সময় আপনার মোবাইল একটি কোড চলে আসবে সেই কোডটি কোড বক্সে লিখে দিয়ে continue তে ক্লিক করতে হবে। তারপর save change অপশন টিতে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার অ্যাকাউন্ট টি লগআউট করে আবার লগইন করুন। দেখবেন নতুন একটি পেজ খুলে গেছে। এখানে আপনাকে Add to your list of recognized devices বক্সের টিক চিহ্নটি তুলে দিয়ে continue তে ক্লিক করতে হবে। এটি করলে কেউ অন্য কম্পিউটার থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট ঢুকতে পারবে না। কেউ যদি প্রবেশের চেষ্টা করে তাহলে আপনার মোবাইল একটি কোড চলে আসবে। এই কোড ছাড়া কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট ঢুকতে পারবে না। এর পাশাপাশি আপনার ইমেইল একটি মেইল যাবে, সেখানে থাকবে কে, কখন, কোন নামে, কোন আইপি থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট ঢুকার চেষ্টা করা হয়েছিল

 

✦✦✦ ৬। অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয় চলে আসে যেমন- see who have visited your profile এই ধরনের কোনকিছুতে আপনি ক্লিক করবেন না। এতে ক্লিক করলে আপনার প্রোফাইল আপনাআপনি তাদের কিছু মেসেজ যুক্ত হয়ে যাবে। এগুলকে সবসময় এড়িয়ে চলুন

 

✦✦✦ ৭। আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কাউকে হুমকি দেবেন না, কেননা যদি কেউ আপনার আইডির নামে রিপোর্ট