আপনাদের ফেসবুক অ্যাপ গুলো সাধারণত ডার্ক মোড এ থাকে না অর্থাৎ সেগুলোর থিমটা সাদা কালারের থাকে । কিন্তু অনেকে আবার সৌন্দর্যের খাতিরে এই থিমটাকে কালো করতে চাই অর্থাৎ ডার্ক মোড এ রাখতে চাই। তো বন্ধুরা যারা ডার্ক মোড এ আপনাদের ফেসবুক অ্যাপ টি রাখতে চান তারা হয়তো বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করেও এ সম্বন্ধে স্পষ্টভাবে কোন আর্টিকেল পাননি । কিন্তু আমি আপনাদের এ আর্টিকেলে পুরো প্রক্রিয়াটি দেখিয়ে দেবো যে কিভাবে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাপ কে ডার্ক মোড এ রাখবে ।

ছাত্রজীবনে আয় করার সেরা কিছু উপায়

অনলাইন বা অফলাইন টিচিং
ওয়েবসাইট তৈরী
ডেলিভারি ড্রাইভিং
ফাইভারে গিগ খোলা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
নোটস সেল করা
প্রতিযোগিতা
ডোমেইন কেনা-বেচা
স্টক ফটোগ্রাফি
ইউটিউব
রাইটিং
গ্রাফিক ডিজাইন
অনলাইন ব্যবসা
ড্রপশিপিং
মেডিকেল
ছাত্রজীবনে আয় থাকলে অনেকক্ষেত্রে তা কাজে আসতে পারে । আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে চায় সবাই, তাই ছাত্রজীবন থেকে পড়াশোনার ক্ষতি না করেই আয়ের লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।  আপনি কি হেতে চান আপনার জীবনের লক্ষ কি ।
 

 

অনলাইন বা অফলাইন টিচিং

 আপনি যদি কোন বিষয়ে খুব ভালোভাবে আলোচনা করতে পারেন, তবে বিষয়টি অন্যদের শিখিয়ে শিক্ষায় ছাত্রজীবনে আয় করতে পারেন। এই বিষয়টি হতে পারে ডিমান্ডিং স্কিল বা কোন সাধারণ পাঠলেখার কোনো একটি বিষয় । অনলাইনে বা অফলাইন টিচিং এর পাশাপাশি বিভিন্ন দক্ষতানির্ভর কোর্স তৈরী করে তা বিক্রি করে আয় করা যায়।

ওয়েবসাইট তৈরী

 ওয়েবসাইট তৈরী করে একাধিক উপায়ে ছাত্রজীবনে আয় করা সম্ভব । প্রথমত ব্লগ তৈরী করে উক্ত ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় যায় যেটি আমার ব্লাগ । ওয়েবসাইট থেকে আয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধৈর্য ধরে কাজ করা লাগে যা আপনার ভবিৎসতের দিকে তাকিয়ে । তাই আপনার হাতে যদি যথেষ্ট সময় থাকে, তবে ছাত্রজীবনে ওয়েবসাইট গোড়ে তোলার কাজে নামতে হবে । প্রতিদিন অল্প কিছু সময় দিয়ে কাজ করে মাসে একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করার মত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব ।

ডেলিভারি ড্রাইভিং

স্বাধীনতা রয়েছে আপনার কাছে যদি উক্ত সময়ে একটি সাইকেল/বাইক বা কার থাকে, সেক্ষেত্রে সেটি ব্যবহার করে ছাত্রাবস্থায় ভালো অংকের আয় করতে পারেন । আপনি চাইলে ফুড ডেলিভারি বা সরাসরি ড্রাইভিং এর কাজ করতে পারেন বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।

ফাইভারে গিগ খোলা

ফাইভারে গিগ খুলে ফ্রিল্যান্সিং করে ছাত্রাবস্থায় আয় করতে পারেন । আপনার যেকোনো দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফাইভারে গিগ খুলে তা থেকে আয়ের পথ তৈরী করতে পারেন । ভালো কাজ জানতে হবে আপনার

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়াতে যদি আপনার যথেষ্ট পরিচিতি থাকে বা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকলে সেক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আয়ের একটি অসাধারণ উপায় হতে পারে ।

 

নোটস সেল করা

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দামসহ নোট আপলোড করা যায় ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উক্ত নোট ডাউনলোড করলে তা থেকে অর্থ পাওয়া যায়। Nexus Notes ও Stuvia এর মতো ওয়েবসাইটে যেকেউ বিনামূল্যে নোটস আপলোড করতে পারে । নোট থেকে প্রাপ্ত লাভের অংশ আপনার সাথে শেয়ার করবে এসব ওয়েবসাইট ।


ডোমেইন কেনা-বেচা

  ডোমেইন কেনা-বেচা থেকে আয় করতে প্রথমে কোনো সম্ভাবনাময় ডোমেইন কিনতে পারে GoDaddy বা Namecheap বা দেশে আনেক ডোমেইন সেল দিয়ে থাকে এসব সাইট থেকে । খুব কম খরচে ডোমেইন কেনা যায়, যা পরবর্তীতে কয়েকশো গুণ দামে পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব । তবে ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে যেসব ডোমেইন ভবিষ্যতে ভালো অর্থের বিনিময়ে বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব ডোমেইন যাচাই-বাছাই করে কেনা উচিত । আপনার কিওর্য়াড রির্চাজ করে ভালো ভবে বুঝে ডোমেইন কিনে রাখবেন এক সময় সেল দিয়ে দিবেন । আপনি ডোমেইন নাম ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে রাখবেন দেখবেন যে কেও আপনার ডোমেইন কিনে নিবে ভালো মূল্যে ।

স্টক ফটোগ্রাফি

আপনি যদি ফটোগ্রাফিতে দক্ষ হন, তবে শাটারস্টক, এডোবি স্টক, ইত্যাদি স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করে বেশ ভালো মানের আয় করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে আপনি একবার প্রোডাক্ট, অর্থাৎ ছবির জন্য কাজ করবেন ও এর থেকে প্যাসিভ ইনকাম পাবেন।

ইউটিউব

 এ বিষয় বেশি না বললে হবে যেকোনো ব্যক্তি একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারে । তবে ইউটিউব চ্যানেল খুলেই উক্ত চ্যানেল থেকে আয় শুরু থেকেই আয় করা সম্ভব ।

রাইটিং

 ফ্রিল্যান্স রাইটিং একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং পেশা । বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য এই কাজটি বেশ মানানসই পেশা । বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইংরেজিতে  ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে রাইটিং এর কাজ পাওয়া যায় । আর প্রায় যেকোনো বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং করা যায় । ভালো ইংরেজি জানলে আপনার চিন্তার কারণ নেই বেশ ভালো মানের অর্থ আয় সম্ভব ।

গ্রাফিক ডিজাইন

গ্রাফিক ডিজাইন একটি জনপ্রিয় সেবা ও এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে সম্পূর্ণ বিশ্বে । ছাত্র হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম ডিজাইনার হিসেবে কাজ নিতে পারেন । এছাড়াও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে আয় করতে পারেন । আপনি ভাবতে পারবেন না ভালো কাজের কি মূল্য আছে, ভালো কাজ শিখুন দেখবেন খতটা ভালো সময় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ।

অনলাইন ব্যবসা

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মের কল্যাণে বেশ সহজে একটি অনলাইম স্টোর সেটাপ করা যায়। চাইলে এই ফিচারগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজের কোনো একটি ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারেন । আপনি ভাবুন আপনি কি করতে চান অনলাইনে এটুকুই ।

ড্রপশিপিং

প্রোডাক্ট খুঁজে বের করে তা বিক্রি করার মত যথেষ্ট সময় না থাকলে ড্রপশিপিং আয়ের আরেকটি পথ হতে পারে । ড্রপশিপিং এর ক্ষেত্রে অর্ডার নিয়ে তা থার্ড পার্টির মাধ্যমে ডেলিভারি করা হয় ।