নবজাতক শিশুর জন্মের পর করণীয়
নবজাতক শিশুর জন্মের পর সেই শিশুর যত্ন নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। নবজাতক শিশুর সাথে সাম্প্রতিক জন্মের পর কিছু করণীয় নিম্নলিখিত হতে পারে:
শিশুর সুরক্ষা: শিশুর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পাশে সামগ্রিক নিরাপত্তা সরবরাহ করতে হবে, যেহেতু নবজাতক শিশুর রোগের ঝুঁকি বেশি থাকতে পারে।
পোষণ: নবজাতক শিশুর উপযুক্ত পোষণ সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। মা যদি স্তন্যপান করাতে পারেন, তাহলে স্তন্যপান করানো গুড়িয়ে যেতে পারে। অন্যথায়, নিরাপদ ও সুস্বাস্থ্য্য শিশু খাবার প্রদান করা দরকার।
সান্ত্বনা: নবজাতক শিশু নিরাপদ ও সুস্থ থাকতে হলে সান্ত্বনা এবং স্নেহন প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিনোদন এবং উপস্থাপনা: নবজাতক শিশুর সাথে সময় কাটাতে এবং মিষ্টি কথা বলার সাথে উপস্থাপনা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর মানসিক ও শারীরিক উন্নতির জন্য মাধ্যমিক।
নিরাপত্তা এবং পরীক্ষা: শিশুর নিরাপত্তা সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তা উপায়ের মধ্যে বৃদ্ধি যেমন বাচ্চাটির ঘোড়াবান্দি, প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাপত্তা সরবরাহ করা, মসৃণ সম্পর্কের মাধ্যমে সাপ্তাহিক পরীক্ষা এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিত্সা সরবরাহ করা সম্প্রতি জনপ্রিয়।
টিকা: শিশুর নিরাপত্তার সাথে টিকা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। টিকা প্রদানের মাধ্যমে শিশুকে বিভিন্ন রোগ মুক্তি পেতে পারে।
শিশুদের টিকা দেয়ার পরে হালকা একটু জ্বর হবে এটা খুব স্বাভাবিক – এ নিয়ে ঘাবড়িয়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই!
কোন কারণে জ্বর না আসলে টীকায় কোন কাজ হয়নি এমনটা মনে করারও কোন কারণ নেই, বরং এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে শিশুটি শারীরিক ভাবে খুবই সুস্থ এবং টিকার প্রতিষেধক ক্ষমতাটি তার দেহে সঠিকভাবে স্থাপিত হয়েছে!
মনে রাখতে হবে যে টিকা দেবার দুদিন পর যদি কোন শিশুর জ্বর আসে তাহলে এটা টিকা জনিত কোন জ্বর নয়! তবে শুধু মাত্র BCG (বিসিজি) টিকা দেয়ার পরে টিকার স্থানটি লাল হয়ে পেঁকে পুঁজ বেড় না হলে বুঝতে হবে টিকাটি কোন কারণে অকার্যকর হয়েছে – এমন অবস্থায় পুনরায় বিসিজি টিকা দিতে হবে।
নির্মিত আবাসন: নবজাতক শিশুর জন্য সমৃদ্ধ ও নির্মিত আবাসন সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্য্য উন্নতি সহায়ক।
নবজাতক শিশুর জন্মের পর খুবই সতর্কতা দিয়ে নিম্নলিখিত করণীয় আছে: নবজাতকের টিকা দেওয়ার পর জ্বর আসলে করণীয়
নিরাপদ ও শান্তির বাসা নিশ্চিত করুন: নবজাতক শিশুটির জন্মের পর বাড়িতে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বাসা নিশ্চিত করুন। শিশুর প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও আবাসন ব্যবস্থা করুন।
প্রাথমিক চিকিৎসা ও নির্দেশনা প্রাপ্ত করুন: শিশুর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নবজাতক চিকিৎসা কেন্দ্রে যান এবং প্রাথমিক চেকআপ এর জন্য একটি স্থায়ী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। শিশুর উচ্চাকাঙ্খী স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিষ্ক্রিয় বা ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থার চেষ্টা করুন।
শিশুর দেখভাল ও মাতৃত্ব দেখানো: শিশুর জন্য উপযুক্ত দেখভাল নিশ্চিত করুন। মাত্র জন্ম হওয়া শিশুর সাথে সময় কাটানো এবং সান্ত্বনা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
স্তনপান সেবা: স্তনপান নামা দিন এবং শিশুকে মাতৃমাতার মিল্ক দিন, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্তনপানের প্রক্রিয়া ঠিকভাবে শেখানো হলে আরও ভালো হয়।
প্রাথমিক টিকা এবং সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন: নবজাতক শিশুর জন্য প্রাথমিক টিকা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় টিকা সময়ে সময়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কাপড়, জনিত পরিপাটি, ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিশ্চিত করুন: শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়, জনিত পরিপাটি, ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করুন। সান্ত্বনা, পরিপাটির পরিবর্তন, এবং পানি পর্যাপ্তভাবে উপলব্ধ রাখুন।
মাতৃত্ব ও পিতৃত্ব পর্যাপ্ত সমর্থন দিন: মাতৃত্ব ও পিতৃত্ব প্রদান করে শিশুর সান্ত্বনা এবং উন্নত মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত করুন।
নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ সংরক্ষণ করুন: শিশুর জন্য ঘরের স্থানগুলি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং বিশেষ ভাবে শিশুর কাছে অগ্রাধিকার থাকতে দিবেন না।
বাচ্চার জন্য শিক্ষা ও খেলা-খেলোয়া সমর্থন দিন: নবজাতক শিশুর শিক্ষার ও খেলা-খেলোয়া বিকাশ সমর্থন করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টির যত্ন নিন: নবজাতক শিশুর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম এবং পুষ্টির যত্ন নিন, যাতে তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সুস্থভাবে চলতে পারে।
শিশু জন্মের কতদিন পর টিকা দিতে হয়
শিশু জন্মের পর টিকা দেওয়ার সময়সূচি দেশ এবং সংশ্লিষ্ট হেলথ অথরিটির নির্দেশনায় নির্ধারণ হয়। সাধারণভাবে, প্রাথমিক টিকা প্রদান শিশুর জন্মের সাথে সাথে করা হয় এবং পরবর্তী টিকা ডোজ গুলি নির্ধারণ সময়সূচির মধ্যে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে, প্রাথমিক টিকা জন্মের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হয় এবং পরবর্তী টিকা ডোজ গুলি কিছু সপ্তাহের মধ্যে বা মাসের মধ্যে দেওয়া হয়।
টিকা সময়সূচি এবং প্রয়োজনীয় টিকা ডোজ সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য জানতে, আপনার দেশের স্থানীয় হেলথ নির্দেশনা অনুসরণ টিকা সময়সূচি যেনে নিবেন । এই উপায়গুলির মাধ্যমে নবজাতক শিশুর সুস্থ্য্য ও সুখী জীবনে সাহায্য করা যেতে পারে। তবে, নিশ্চিত হতে হবে যে, শিশুর যত্ন এবং নিরাপত্তা সরবরাহের প্রতিটি পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য স্তরে সরবরাহ করা হচ্ছে। যদি আপনি কোনও প্রশ্ন বা সমস্যা সম্পর্কে চিন্তা করেন, তবে নিকটস্থ চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করাটি উচিত। ৬, ১০ ও ১৪ সপ্তাহে শিশুকে পোলিও টিকা (মুখে খাওয়ার ওপিভি), পেনটা ইনজেকশন (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, টিটেনাস, হেপাটাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা—এই পাঁচ রোগের সম্মিলিত টিকা) দিতে হবে। নিউমোনিয়ার টিকা (পিসিভি ইনজেকশন) দিতে হবে ৬, ১০ ও ১৮ সপ্তাহে। * পোলিওর ইনজেকশন টিকা দেওয়া হয় ১৪ সপ্তাহে।
গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন
গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সতর্কতার সাথে করতে হয়, কারণ গরমে শিশুর শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।
শিশুর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা: নবজাতকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে একটি সুখকর এবং শুশ্রুষিত বাবুদের কমরুপের বাসা দিতে হবে। তাপমাত্রা আপনার শিশুর সারিরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।শিশুর জন্য গরমে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে শিশুকে সামাজিক যোগাযোগে এবং দেখাদেখি বয়স্কদের কাছে রাখা উচিত। এটি নবজাতকের সুস্থ অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে।উচ্চতাপের দিনে, শিশুর শারীরিক প্রতিরক্ষা বাড়তে হয়। শিশু বাচ্চা একটি পর্যাপ্ত শীতল জাগায় থাকতে দেওয়া উচিত এবং স্থানীয় হাওয়াও ব্যবহার করা উচিত।শিশুকে যত্ন নেয়ার সময় পানি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতক বাচ্চা স্থির হাড়ি পেতে জন্য পর্যাপন্ন পরিমাণে শিশুর মাথা এবং শরীর পানি খেতে পারে।শিশুকে গরমে শুষ্ক ও আপনির স্নিগ্ধ প্রেম এবং সহানুভূতি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি তার সান্ত্বনা ও মানসিক স্থিতির জন্য ভাল।শিশুর গরমে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, চিকিৎসার সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনির স্থানীয় চিকিৎসক এবং শিশুর যোগাযোগ করুন ।
dinajpureducationboard
0 Comments