শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
১ বছরের আগে বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ দেয়া যাবে না। কিন্তু ১ বছর হয়ে গেলে নিয়মিত ৬ মাস অন্তর অন্তর বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ অবশ্যই দিবেন। একবার ঔষধ খাওয়ানোর ৭-১০ দিন পর পুনরায় প্রাথমিক ডোজ দিতে হবে। কৃমির ঔষধ কৃমিকে মেরে ফেলে কিন্তু কৃমির ডিম এবং লার্ভা মারতে পারে না।shishur krimir osud khawar niyom
বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার লক্ষণগুলি সাধারণভাবে যে সকল কারণে হয়ে থাকে: পেটে ব্যথা: কৃমি আক্রমণে পেটে ব্যথা বা মেদদরবারে তীব্র আঘাত অথবা ত্রাণসার সমস্যা হতে পারে।
পেটে পানির সমস্যা: কৃমি আক্রমণে বাচ্চার পেটে পানি জমে যেতে পারে, যা পানির সমস্যা এবং দারুণ উবাস বা ক্যানস্টিপেশনের লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।
দুর্বলতা এবং বাড়ী কাজের ক্ষমতা নষ্ট: কৃমি আক্রমণ বাচ্চাদের দুর্বল এবং সবচেয়ে বেশি বাড়ী কাজের ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে।
পাতলা পেট: বাচ্চার পেট অত্যন্ত পাতলা হতে পারে এবং ব্যথা অবশ্যই হতে পারে।উবাস এবং স্বাস্থ্যের সামগ্রিক দশা দুর্বল: কৃমি আক্রমণে বাচ্চার উবাস হতে পারে এবং তার স্বাস্থ্য সামগ্রিকভাবে দুর্বল হতে পারে।
পুকুর এবং পেটে কুড়াতে ব্যাথা: কৃমি আক্রমণে বাচ্চা পুকুর এবং পেটে কুড়াতে ব্যাথা অবশ্যই অনুভব করতে পারে।বুকে ব্যথা: কৃমি আক্রমণে বাচ্চার বুকে ব্যথা হতে পারে।
পানির জলন্ত বা পানির দিকে উত্সাহিত অনুভব: কৃমি আক্রমণে বাচ্চা পানির জলন্ত অনুভব করতে পারে এবং পানির দিকে অতিরিক্ত উৎসাহিত হতে পারে।
এই লক্ষণগুলির সাথে যদি বাচ্চার ওজনের কমি, ব্যক্তিগত সামগ্রিক দশা দুর্বলতা, অস্ত্রীর মস্তিষ্ক বা শারীরিক বিকার সম্পর্কিত লক্ষণ দেখা যায়, তবে সেই সাথে চিকিৎসা ত্সকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কৃমি আক্রমণের সঠিক চিকিৎসা এবং মেডিকেশনের জন্য চিকিৎসা ত্সকের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
শিশুদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় ঔষধ খাওয়ার নিয়ম নির্দেশ করার জন্য একেবারে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত, কারণ ঔষধের প্রস্তুতি এবং প্রেসক্রাইপশন ডাক্তারের সুপারিশ অনুসরণ করা উচিত। কৃমির ঔষধ দেওয়ার নিয়মের উপর কিছু সাধারণ নির্দেশনা নিম্নলিখিত হতে পারে:
1. ডাক্তারের পরামর্শ: সর্বপ্রথমে, শিশুটির কৃমির আক্রমণের নিয়মিত বা গুরুতর সমস্যার সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ডাক্তার শিশুর কৃমির প্রকৃতি এবং সেভাব নির্ধারণ করে নেবেন এবং প্রয়োজনে কোনও পরীক্ষা করার সুপারিশ করতে পারেন।
2. ঔষধের নির্ধারণ: ডাক্তার আপনার শিশুর জন্য যে কৃমির ঔষধ প্রেসক্রাইব করেছেন, তা পুরস্কৃত অনুসরণ করুন। কোনও রুগী ঔষধ নিজে নিয়ে খাবেন না।
3. মাত্রা এবং সময়: ঔষধের সঠিক মাত্রা এবং সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রেসক্রাইপশনে মোতাবেক অনুসরণ করুন। এটি সাধারণভাবে একবারে খাওয়া হয় এবং সাধারণভাবে কিছু সপ্তাহের মধ্যে পুনরাবৃত্তি করা হয়।
4. খাবারের সাথে: কিছু ঔষধ খাওয়া আগে বা খাবারের সাথে নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে, ডাক্তারের সুপারিশ অনুসরণ করুন। কিছু ঔষধ পূর্বে প্রশ্নিত দিতে হতে পারে, তাহলে ডাক্তারের সাথে আপনার সমস্যার সম্মুখে তা উল্লেখ করুন।
5. প্রাথমিক লক্ষণ এবং পরীক্ষা: আপনার শিশুর কৃমির আক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ বা সমস্যা আপনি অবহ্যন্তই ডাক্তারের সাথে শেয়ার করুন। অতএব, প্রাথমিক পরীক্ষা ও নিরীক্ষণ একটি ডাক্তারের সাথে করা গুরুত্বপূর্ণ।
6. পুনরাবৃত্তি: ঔষধের পূর্বে এবং পরে পুনরাবৃত্তি করা সমর্থন করে, কৃমির আক্রমণ কে বিস্তারিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। ডাক্তার সাময়িক ঔষধের সাথে পুনরাবৃত্তির সময়টি নির্ধারণ করবেন।
7. পুনরাবৃত্তির পর সতর্কতা: কৃমির ঔষধ খাওয়ার পরে, শিশুর স্বাস্থ্য এবং পুনরাবৃত্তির লক্ষণ পর্যালোচনা করুন। যদি কোনও সমস্যা বা অসুস্থতা দেখা গিয়ে, তাহলে সত্বরভাবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, কৃমির ঔষধ প্রেসক্রাইপশনে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা সমর্থন করে নিয়মিত প্রয়োজন। আপনার শিশুর স্বাস্থ্য এবং কৃমির আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় নিম্নলিখিত উপায়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
ঔষধ: বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর জন্য প্রাথমিক ধাপ হতে পারে ঔষধিগুলি ব্যবহার করা। সর্দর্কতা দেওয়া প্রয়োজন যেন বাচ্চার উপযুক্ত বয়সে এবং উপযুক্ত মাত্রার জন্য ঔষধি নির্ধারণ করা হয়। আপনার বাচ্চার ডাক্টরের সাথে যোগাযোগ করুন এবং সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণে থাকুন।
উপযুক্ত পুষ্টি: বাচ্চাদের পুষ্টিগত প্রয়োজনীয়তা মেটানো গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের শরীরে কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে সামান্য করতে সাহায্য করতে পারে।
সাফ পানি: শুধুমাত্র কৃমি তাড়ানোর মাধ্যমে বাচ্চার স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য সাফ পানি প্রয়োজন। বাচ্চাদের হাত ধোয়া এবং খাবার প্রয়োজনে স্বাচ্ছন্দ্য বাধানোর জন্য পানি প্রয়োজন।
স্বাচ্ছন্দ্য: বাচ্চারা বিশেষ করে কৃমি সংক্রমণের সময় স্বাচ্ছন্দ্য বিষয়ক সাবধানতা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের উপযুক্ত বয়সে শিক্ষা দিন যেন তারা নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সতর্ক থাকতে পারে।
নিয়মিত হাঁটা: নিয়মিত হাঁটা বাচ্চাদের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
বাচ্চার কৃমি সংক্রমণ এবং তাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে, বাচ্চার ডাক্টরের সাথে সাক্ষাত্কার করাটি গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্টর আপনাকে উপযুক্ত ঔষধি প্রেসক্রাইপ্ট করতে পারে এবং সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সময় সাহায্য করতে পারে।
শিশুদের গুড়া কৃমির থেকে রক্ষা করা
শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে যে কোনো ওষুধের ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ইনফেকশনের চিকিৎসা ত্সা ও ওষুধের প্রেসক্রিপশন ডাক্তার দ্বারা নির্ধারণ করা উচিত, কারণ বিভিন্ন ধরণের গুড়া কৃমির ইনফেকশনের জন্য বিভিন্ন ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
সাধারণভাবে গুড়া কৃমির ইনফেকশনে ব্যবহৃত ওষুধের মধ্যে কিছু উল্লিখিত হতে পারে, যেমন:
মেবেন্দাজোল (Mebendazole): এটি একটি সাধারণ গুড়া কৃমির ওষুধ হতে পারে এবং বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ইনফেকশনে ব্যবহৃত হতে থাকে।
পাইরান্টেল পামোয়িট (Pyrantel Pamoate): এটি অন্যত্র অপ্রিয় হতে পারে এবং সাধারণভাবে বাচ্চাদের গুড়া কৃমির ইনফেকশনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
এই ওষুধের ব্যবহারের আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ধারিত মাত্রা ও প্রয়োগের নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত। আপনার বাচ্চার বয়স, ওজন, এবং অন্যান্য চিকিৎসা ত্সাগত শর্তাদির উপর নির্ভর করে ডাক্তার সম্মতি দেবেন ও সঠিক ওষুধের ডোজ ও অবধি নির্ধারণ করে তা সাপ্তাহে বা মাসে একবার বা আরও বেশি সময় সেবন করা হতে পারে।
নানান প্রাকৃতিক খাবার: শিশুদের সাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ডায়েটে পুরাতান ও সমৃদ্ধ খাবার অথবা ফলমূল থাকা উচিত।
নির্দিষ্ট পুষ্টিতত্ত্ব: প্রাথমিক বাড়ীতে শিশুরা যে ধরণের পুষ্টিতত্ত্ব প্রাপ্ত করছে, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের পুষ্টিতত্ত্ব পূর্ণ এবং সম্পূর্ণ হওয়া উচিত।
টিকা এবং নিরাপত্তা: শিশুদের প্রাথমিক টিকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোনও প্রকৃত রোগের বিরুদ্ধ তাদের সুরক্ষা দেয়।
নিরাপত্তা ও ব্যায়াম: শিশুদের সাস্থ্যের জন্য নিরাপত্তা ও ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আদর্শভাবে স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে একটি মৌখিক বা শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত।
সময়ের সাথে নিয়মিত চেকআপ: শিশুরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিতভাবে চেকআপ এনে থাকতে হবে, যেহেতু তাদের সাস্থ্য স্থিতি সামগ্রিকভাবে মনিটর করা যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য: শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সাথে দেখা দেয় এবং তাদের যদি কোনও মানসিক সমস্যা থাকে তা পর্যালোচনা করা উচিত।
যত্ন ও ভাল শিক্ষা: শিশুদের যত্ন ও ভাল শিক্ষা দেওয়া উচিত, যাতে তারা স্বাস্থ্যভাবে স্বাস্থ্যপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নীতি সম্পর্কে শিখতে পারে।
শিশুদের সাস্থ্য সম্পর্কে যদি কোনও সংশয় থাকে বা কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে
বাচ্চাদের কৃমি ঔষধ
বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার লক্ষণ
গুড়া কৃমি দূর করার উপায়
কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
১ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ
বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয়
শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এগুলা অতিব জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয়
কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কোনও ভিটামিনের অভাব উত্পন্ন হয় না। তবে, কোনও সমস্যা হলে, আপনার চিকিৎসকে পরামর্শ করা উচিত। তার সাথে আপনার ঔষধ ব্যবস্থাপনা এবং পূর্ববর্তী সার্জারি ইত্যাদি তথ্য থাকতে পারে, এবং তিনি আপনার সমস্যার সঠিক সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারেন।
0 Comments